প্রেস বিজ্ঞপ্তি
তারিখ: ২৫/০৮/২০২২&

চা শ্রমিকদের মর্যাদা ও চলমান মজুরী আদায়ের লড়াইয়ে সংহতি

অবিলম্বে চা শ্রমিকদের মজুরী বৃদ্ধির ন্যায্য দাবী মেনে নাও
২০১৯ সালে গঠিত চা শ্রমিকদের জন্য গঠিত নূন্যতম মজুরী বোর্ড কার্যকর কর

আজ ২৫ আগস্ট ২০২২ বেলা চার ঘটিকায় মিরপুর-১ সনি সিনেমা হল চত্বরে ‘কর্মজীবী নারী’ চা শ্রমিকদের মর্যাদা ও চলমান মজুরী আদায়ের লড়াইয়ে সংহতি জানিয়ে এক সমাবেশ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। কর্মজীবী নারী’র সমন্বয়ক হাসিনা আক্তার এর সভাপতিত্বে উক্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জাতীয় শ্রমিক জোট বাংলাদেশ এর কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক ও কর্মজীবী নারী’র সমন্বয়ক রাজীব আহমেদ, কাজী গুলশান আরা, দেওয়ান আব্দুস সাফি, ফারহানা আফরিন, শাহিদা আক্তার, হুরমত আলী, প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা আল জাহিদ, রুনা লায়লা, জাতীয় শ্রমিক জোট-বাংলাদেশ এর মিরপুর আঞ্চলিক কমিটির সভাপতি, শ্রমিক নেত্রী রাবেয়া আক্তার, ঢাকা মহানগরের যুগ্ম আহবায়ক শেখ শাহানাজ, দারুস সালাম থানা কমিটির সাধারণ সম্পাদক নারগিস আক্তার প্রমুখ।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, কর্মজীবী নারী মনে করে ৯ আগষ্ট ২০২২ থেকে চলমান এই চা শ্রমিকদের মজুরী বৃদ্ধির আন্দোলন অত্যন্ত যৌক্তিক। কারণ, বিদ্যমান যে বেতন কাঠামো ও প্রাপ্য সুবিধাদি একজন চা শ্রমিক পেয়ে থাকেন তা দিযে বর্তমান বাজার মূল্যে নূন্যতম মানবিক জীবনযাপন করা প্রায় অসম্ভব। কেননা একজন চা শ্রমিক দিনে ২৪ কেজি চা পাতা তুলতে পারলেই তবে পেয়ে থাকেন ১২০ টাকা যা বেশির ভাগ শ্রমিকের পক্ষে তোলা সম্ভব হয় না। ফলে একজন শ্রমিক দৈনিক ১২০ টাকা মজুরীও পান না।

বক্তারা আরও বলেন, শ্রম আইন-২০০৬ এর ৩২ নং ধারা অনুযায়ী কেউ যদি তার কাজ থেকে ছাঁটাই হন তাহলে সে তার ‘লেবার লাইন’ থেকেও বের হয়ে যেতে বাধ্য থাকেন। অথচ একজন চা শ্রমিক যে বেতন ভাতা পেয়ে থাকেন তা থেকে টাকা জমিয়ে অন্যত্র জমি ক্রয় করে বসবাস করা অসম্ভব। ফলে সে বাধ্য হয় যে কোনোভাবেই হোক না কেনো চা কলোনীতে থাকতে এবং শ্রম বিক্রি করতে। অপরদিকে শত বছর যাবৎ যে ভ‚মিতে চা শ্রমিকরা বংশ পরম্পরায় বসবাস করে আসছে সেই জমির মালিকানাও কিন্তু চা শ্রমিকরা পাননি। অথচ তারা এখন এই স্বাধীন দেশের একজন নাগরিক হিসেবে স্বীকৃত। তবুও একদিকে ভ‚মি মালিকানাহীন পরিস্থিতি, অপরদিকে অপর্যাপ্ত মজুরী! সবমিলিয়ে একজন চা শ্রমিক এখানে প্রায় বাধ্য হয়েই তার শ্রম দিয়ে চলেছে। ফলে এই ব্যবস্থার মানবিক রুপান্তর এখন সময়ের দাবী।

উক্ত সমাবেশ থেকে কর্মজীবী নারী নিম্নোক্ত দাবির বাস্তবায়নের আহ্বায়ন করছে:

  •  বাজার মূল্যের সাথে সামঞ্জস্য রেখে চা শ্রমিকদের ন্যয্য মজুরী নির্ধারণ কর;
  •  ২০১৯ সালে গঠিত চা শ্রমিকদের জন্য নূন্যতম মজুরী বোর্ড কার্যকর কর, অবিলম্বে রিপোর্ট প্রকাশ কর;
  • চা শ্রমিকদের মর্যাদাপূর্ণ জীবন ব্যবস্থা নিশ্চিত করো, পেশা নির্ধারণের স্বাধীনতা নিশ্চিতকরণে বাস্তবতা তৈরী কর;
  • চা বাগানে মালিক/ম্যানেজার-শ্রমিক এর মধ্যে বিরাজমান উপনিবেশিক সংস্কৃতি নির্মূল কর;
  •  চা শ্রমিকদের মজুরী প্রশ্নে মালিক পক্ষের বিভ্রান্তিকর তথ্য রুখে দাও।

 

বার্তা প্রেরক

রাবিতা ইসলাম
প্রকল্প সসমন্বয়ক, কর্মজীবী নারী
মোবাইল: ০১৯৩৭০৩৮৭০০

 

——————-কর্মজীবী নারী, রিজেন্ট পর্বতা গ্র্যান্ড, সূচনা, বাড়ি-১৫৯/এ, এপার্টমেন্ট- ১০২ এবং ১০৪, সেনপাড়া, পর্বতা, মিরপুর, ঢাকা; মোবাইল: ০১৭৫০৩৭৭৯৩৯———————-

Pin It on Pinterest