প্রেস বিজ্ঞপ্তি: মহান মুক্তিযোদ্ধা ও গরীবের ডাক্তার জাফরুল্লাহ চৌধুরী’র প্রয়াণে কর্মজীবী নারী’র শোকবার্তা  

তারিখ: ১৩/০/২০২৩
বাংলাদেশের জনস্বাস্থ্য আন্দোলনের শীর্ষস্থানীয় নেতা, মুক্তিযোদ্ধা এবং গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে’র প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী’র প্রয়াণে ‘কর্মজীবী নারী’ সংগঠন শোক প্রকাশ করে। সংগঠনের নেতৃবৃন্দ  এই শোকবার্তায় বলেন;  ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী’র মৃত্যুতে আমরা একজন মহান দেশপ্রেমিককে হারালাম। দেশের স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নে তাঁর অবদান অনস্বীকার্য। গণস্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে খেটে-খাওয়া সাধারণ মানুষের চিকিৎসা সেবায় যে অবদান রেখেছেন তা ভুলবার নয়। বাংলাদেশে জনস্বাস্থ্য আন্দোলনের পুরোধা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী ‘গরীবের ডাক্তার’ নামে সাধারণ জনগণের কাছে অধিক জনপ্রিয় ছিলেন। সাধারণ মানুষের অধিকার নিশ্চিতকরণে তাঁর মত ত্যাগী, মহান দেশপ্রেমিককের শূণ্যতা পূরণ হবার নয়। নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, তাঁর কার্যক্রমের মধ্য দিয়েই তিনি সাধারণ জনগণের মাঝে চিরদিন বেঁচে থাকবেন।

কর্মজীবী নারী’র পক্ষে শোক প্রকাশ করেন প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি শিরীন আখতার এমপি, সভাপতি দিলনাশিঁ মোহসেন, সহ-সভাপতি উম্মে হাসান ঝলমল ও শাহিন আক্তার পারভিন, সাধারণ সম্পাদক শারমীন কবীর, নির্বাহী পরিচালক রোকেয়া রফিকন এবং অতিরিক্ত নির্বাহী পরিচালক সানজিদা সুলতানা।

বার্তা প্রেরক
হাছিনা আক্তার
সমন্বয়ক ( এইচ আর এন্ড এডমিন)
কর্মজীবী নারী | PDF
মোবাঃ ০১৭১২ ৪৭৯ ৫০১

চা শ্রমিকদের মর্যাদা ও চলমান মজুরী আদায়ের লড়াইয়ে সংহতি

চা শ্রমিকদের মর্যাদা ও চলমান মজুরী আদায়ের লড়াইয়ে সংহতি

প্রেস বিজ্ঞপ্তি
তারিখ: ২৫/০৮/২০২২&

চা শ্রমিকদের মর্যাদা ও চলমান মজুরী আদায়ের লড়াইয়ে সংহতি

অবিলম্বে চা শ্রমিকদের মজুরী বৃদ্ধির ন্যায্য দাবী মেনে নাও
২০১৯ সালে গঠিত চা শ্রমিকদের জন্য গঠিত নূন্যতম মজুরী বোর্ড কার্যকর কর

আজ ২৫ আগস্ট ২০২২ বেলা চার ঘটিকায় মিরপুর-১ সনি সিনেমা হল চত্বরে ‘কর্মজীবী নারী’ চা শ্রমিকদের মর্যাদা ও চলমান মজুরী আদায়ের লড়াইয়ে সংহতি জানিয়ে এক সমাবেশ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। কর্মজীবী নারী’র সমন্বয়ক হাসিনা আক্তার এর সভাপতিত্বে উক্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জাতীয় শ্রমিক জোট বাংলাদেশ এর কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক ও কর্মজীবী নারী’র সমন্বয়ক রাজীব আহমেদ, কাজী গুলশান আরা, দেওয়ান আব্দুস সাফি, ফারহানা আফরিন, শাহিদা আক্তার, হুরমত আলী, প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা আল জাহিদ, রুনা লায়লা, জাতীয় শ্রমিক জোট-বাংলাদেশ এর মিরপুর আঞ্চলিক কমিটির সভাপতি, শ্রমিক নেত্রী রাবেয়া আক্তার, ঢাকা মহানগরের যুগ্ম আহবায়ক শেখ শাহানাজ, দারুস সালাম থানা কমিটির সাধারণ সম্পাদক নারগিস আক্তার প্রমুখ।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, কর্মজীবী নারী মনে করে ৯ আগষ্ট ২০২২ থেকে চলমান এই চা শ্রমিকদের মজুরী বৃদ্ধির আন্দোলন অত্যন্ত যৌক্তিক। কারণ, বিদ্যমান যে বেতন কাঠামো ও প্রাপ্য সুবিধাদি একজন চা শ্রমিক পেয়ে থাকেন তা দিযে বর্তমান বাজার মূল্যে নূন্যতম মানবিক জীবনযাপন করা প্রায় অসম্ভব। কেননা একজন চা শ্রমিক দিনে ২৪ কেজি চা পাতা তুলতে পারলেই তবে পেয়ে থাকেন ১২০ টাকা যা বেশির ভাগ শ্রমিকের পক্ষে তোলা সম্ভব হয় না। ফলে একজন শ্রমিক দৈনিক ১২০ টাকা মজুরীও পান না।

বক্তারা আরও বলেন, শ্রম আইন-২০০৬ এর ৩২ নং ধারা অনুযায়ী কেউ যদি তার কাজ থেকে ছাঁটাই হন তাহলে সে তার ‘লেবার লাইন’ থেকেও বের হয়ে যেতে বাধ্য থাকেন। অথচ একজন চা শ্রমিক যে বেতন ভাতা পেয়ে থাকেন তা থেকে টাকা জমিয়ে অন্যত্র জমি ক্রয় করে বসবাস করা অসম্ভব। ফলে সে বাধ্য হয় যে কোনোভাবেই হোক না কেনো চা কলোনীতে থাকতে এবং শ্রম বিক্রি করতে। অপরদিকে শত বছর যাবৎ যে ভ‚মিতে চা শ্রমিকরা বংশ পরম্পরায় বসবাস করে আসছে সেই জমির মালিকানাও কিন্তু চা শ্রমিকরা পাননি। অথচ তারা এখন এই স্বাধীন দেশের একজন নাগরিক হিসেবে স্বীকৃত। তবুও একদিকে ভ‚মি মালিকানাহীন পরিস্থিতি, অপরদিকে অপর্যাপ্ত মজুরী! সবমিলিয়ে একজন চা শ্রমিক এখানে প্রায় বাধ্য হয়েই তার শ্রম দিয়ে চলেছে। ফলে এই ব্যবস্থার মানবিক রুপান্তর এখন সময়ের দাবী।

উক্ত সমাবেশ থেকে কর্মজীবী নারী নিম্নোক্ত দাবির বাস্তবায়নের আহ্বায়ন করছে:

  •  বাজার মূল্যের সাথে সামঞ্জস্য রেখে চা শ্রমিকদের ন্যয্য মজুরী নির্ধারণ কর;
  •  ২০১৯ সালে গঠিত চা শ্রমিকদের জন্য নূন্যতম মজুরী বোর্ড কার্যকর কর, অবিলম্বে রিপোর্ট প্রকাশ কর;
  • চা শ্রমিকদের মর্যাদাপূর্ণ জীবন ব্যবস্থা নিশ্চিত করো, পেশা নির্ধারণের স্বাধীনতা নিশ্চিতকরণে বাস্তবতা তৈরী কর;
  • চা বাগানে মালিক/ম্যানেজার-শ্রমিক এর মধ্যে বিরাজমান উপনিবেশিক সংস্কৃতি নির্মূল কর;
  •  চা শ্রমিকদের মজুরী প্রশ্নে মালিক পক্ষের বিভ্রান্তিকর তথ্য রুখে দাও।

 

বার্তা প্রেরক

রাবিতা ইসলাম
প্রকল্প সসমন্বয়ক, কর্মজীবী নারী
মোবাইল: ০১৯৩৭০৩৮৭০০

 

——————-কর্মজীবী নারী, রিজেন্ট পর্বতা গ্র্যান্ড, সূচনা, বাড়ি-১৫৯/এ, এপার্টমেন্ট- ১০২ এবং ১০৪, সেনপাড়া, পর্বতা, মিরপুর, ঢাকা; মোবাইল: ০১৭৫০৩৭৭৯৩৯———————-

“চা-শ্রমিকদের মর্যাদা ও মজুরী আদায়ের লড়াইয়ে সংহতি”

প্রেস বিজ্ঞপ্তি
তারিখ: ২৪/০৮/২০২২বরাবর

 

বার্তা সম্পাদক/ প্রধান প্রতিবেদক/ এসাইনমেন্ট অফিসার

জনাব
কর্মজীবী নারী’র পক্ষ থেকে সংগ্রামী শুভেচ্ছা!

সকল শ্রেণি-পেশা নির্বিশেষে নারীর অধিকার ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ‘কর্মজীবী নারী’ তার প্রতিষ্ঠালগ্ন ১৯৯১ সাল থেকেই নারী ও নারীশ্রমিকের ক্ষমতায়নের প্রচেষ্টার মধ্য দিয়ে নারীর মর্যাদা বৃদ্ধি এবং জাতীয় অগ্রগতিতে নারীর অবদান রাখার বিষয়ে বিভিন্ন কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। নারীশ্রমিকের ক্ষমতায়ন ও মর্যাদা বৃদ্ধির পাশাপাশি কর্মজীবী নারী দীর্ঘ দিন ধরে নারীর প্রতি সকল প্রকার সহিংসতা, সকল ধরনের শোষন, বৈষম্য, অন্যায় ও অবিচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার ও প্রতিবাদ করে আসছে।

এরই ধারাবাহিকতায় আগামীকাল ২৫ আগস্ট ২০২২ বুধবার, বিকাল ০৪.০০ টায় মিরপুর ১-এর সনি সিনেমা হল চত্বরে চা-শ্রমিকদের মর্যাদা ও মজুরী আদায়ের লড়াইয়ে সংহতি জানিয়ে সমাবেশের আয়োজন করতে যাচ্ছে। উক্ত আয়োজনে উপস্থিত থাকবেন, নারী ও নারীশ্রমিক নেত্রীবৃন্দ, বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার নাগরিকগণ এবং কর্মজীবী নারী’র নেতৃবৃন্দ।

অনুষ্ঠান : সংহতি সমাবেশ
বিষয় : “চা-শ্রমিকদের মর্যাদা ও মজুরী আদায়ের লড়াইয়ে সংহতি”
তারিখ, স্থান ও সময় : ২৫ আগস্ট ২০২২, বৃহস্পতিবার, বিকাল ০৪ : ০০ টা থেকে বিকাল ০৫ : ০০ টা পর্যন্ত ; সনি সিনেমা হল চত্বর, মিরপুর-১, ঢাকা।

অনুগ্রহপূর্বক উক্ত আয়োজনে আপনার বহুল প্রচারিত জাতীয় দৈনিক / দর্শক নন্দিত টেলিভিশন চ্যানেল / বার্তা সংস্থার পক্ষ থেকে একজন প্রতিবেদক ও একজন চিত্র সাংবাদিক / ক্যামেরা ক্রু পাঠানোর অনুরোধ করছি।

বার্তা প্রেরক

হাসিনা আক্তার
সমন্বয়ক, কর্মজীবী নারী
মোবাইল: ০১৭১২৪৭৯৫০১

 

“ধর্ষণ ও নিপীড়ন প্রতিরোধে সর্বত্র সম্মিলিত প্রতিরোধ গড়েতুলি”

প্রেসবিজ্ঞপ্তি
তারিখ: ২৩/০৮//২০২২

বরাবর

বার্তাসম্পাদক/ প্রধানপ্রতিবেদক/ এসাইনমেন্টঅফিসার

জনাব

কর্মজীবী নারী’র পক্ষ থেকে সংগ্রামী শুভেচ্ছা!

সকল শ্রেণি-পেশা নির্বিশেষে নারীর অধিকার ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ‘কর্মজীবী নারী ’তার প্রতিষ্ঠালগ্ন ১৯৯১ সাল থেকেই নারী ও নারী শ্রমিকের ক্ষমতায়নের প্রচেষ্টার মধ্য দিয়ে নারীর মর্যাদা বৃদ্ধি এবং জাতীয় অগ্রগতিতে নারীর অবদান রাখার বিষয়ে বিভিন্ন কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। নারী শ্রমিকের ক্ষমতায়ন ও মর্যাদা বৃদ্ধির পাশাপাশি কর্মজীবী নারী দীর্ঘদিন ধরে নারীর প্রতি সকল প্রকার সহিংসতার বিরুদ্ধে সোচ্চার ও প্রতিবাদ করে আসছে।

আপনারা জানেন, আগামীকাল ২৪ আগস্ট গৃহ শ্রমিক ইয়াসমিন হত্যার ২৭ বছর। ‘কর্মজীবী নারী’ প্রতিবছরের ন্যায় এবারও এই দিবসটি পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ‘কর্মজীবীনারী’ এই দিবসকে কেন্দ্র করে“ ধর্ষণ ও নিপীড়ন প্রতিরোধে সর্বত্র সম্মিলিত প্রতিরোধ গড়ে তুলি” এই দাবীকে সামনে রেখে আগামী ২৪ আগস্ট ২০২২ বুধবার, বিকাল ০৪.০০ টায় মিরপুর ১-এর সনি সিনেমা হল চত্বরে মানব বন্ধনের আয়োজন করতে যাচ্ছে। উক্ত আয়োজনে উপস্থিত থাকবেন, নারী ও নারীশ্রমিক নেত্রীবৃন্দ, বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার নাগরিকগণ এবং কর্মজীবী নারী’র নেতৃবৃন্দ।

অনুষ্ঠান : মানববন্ধন
বিষয় : “ধর্ষণ ও নিপীড়ন প্রতিরোধে সর্বত্র সম্মিলিত প্রতিরোধ গড়ে তুলি”
তারিখ, স্থান ও সময় : ২৪ আগস্ট ২০২২, বুধবার, বিকাল ০৪:০০ টা থেকে বিকাল ০৫:০০ টা পর্যন্ত ;সনি সিনেমা হলচত্বর, মিরপুর-১, ঢাকা।

অনুগ্রহ পূর্বক উক্ত আয়োজনে আপনার বহুল প্রচারিত জাতীয় দৈনিক / দর্শক নন্দিত টেলিভিশন চ্যানেল / বার্তা সংস্থার পক্ষ থেকে একজন প্রতিবেদক ও একজন চিত্র সাংবাদিক / ক্যামেরা ক্রু পাঠানোর অনুরোধ করছি।

বার্তা প্রেরক

হাসিনা আক্তার
সমন্বয়ক, কর্মজীবী নারী
মোবাইল: ০১৭১২৪৭৯৫০১

 

প্রেস বিজ্ঞপ্তি:“অ-প্রাতিষ্ঠানিক খাতের নারীশ্রমিকদের সামাজিক ও অর্থনৈতিক ন্যায়বিচার সুনিশ্চিত করা” শীর্ষক লবি মিটিং

প্রেস বিজ্ঞপ্তি:“অ-প্রাতিষ্ঠানিক খাতের নারীশ্রমিকদের সামাজিক ও অর্থনৈতিক ন্যায়বিচার সুনিশ্চিত করা” শীর্ষক লবি মিটিং

ব্যক্তিগত পরিচর্যা এবং স্বাস্থ্যসেবায় নিয়োজিত নন-ক্লিনিক্যাল কর্মীদের ইস্যুটি সামনে তুলে এনেছে নারীশ্রমিক কন্ঠ

নারীশ্রমিক কন্ঠ আজ ০৬ জুন, ২০২২ সকাল ১১:০০ ঘটিকায় “অ-প্রাতিষ্ঠানিক খাতের নারীশ্রমিকদের সামাজিক ও অর্থনৈতিক ন্যায়বিচার সুনিশ্চিত করা” শীর্ষক লবি মিটিং-এর আয়োজন করে।

নারীশ্রমিক কণ্ঠে’র আহŸায়ক শিরীন আখতার, এমপি’র সভাপতিত্বে এবং কর্মজীবী নারী’র নির্বাহী পরিচালক রোকেয়া রফিক’র সঞ্চালনায় লবি মিটিংয়ে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আরোমা দত্ত এমপি, উম্মে কুলসুম স্মৃতি এমপি, সৈয়দা রুবিনা আক্তার এমপি, নাদিরা ইয়াছমিন জলি, এমপি। সভায় আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড. হামিদা হোসেন, আহবায়ক, শ্রমিক নিরাপত্তা ফোরাম (এসএনএফ), ড. সেলিনা আক্তার, অতিরিক্ত সচিব,শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, ড. মোছাম্মৎ মুসলিমা মুন, অতিরিক্ত পরিচালক, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর, একেএম নাসিম, এ্যডভোকেট, সুপ্রিম কোর্ট, রাজ্জেকুজজামান রতন, সভাপতি, সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট, আরিফা এস আলম, কর্মসূচি সমন্বয়ক,এফইএস, সানজিদা সুলতানা, অতিরিক্ত নির্বাহী পরিচালক, কর্মজীবী নারী। সভায় ধারনাপত্রটি উপস্থাপন করেন ড. জাকির হোসেন, অধ্যাপক, আইবিএস, রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয়। অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন ফেলিক্স কোলবিজ, কান্ট্রি ডিরেক্টর, এফইএস, বাংলাদেশ।

আলোচকবৃন্দ বলেন, অপ্রাতিষ্ঠানিক ক্ষেত্রের পরিধি এখন আরও বিস্তৃত হচ্ছে। এই খাতের শ্রমিকেরা দেশের অর্থনীতিতে একটি বৃহৎ ভ‚মিকা রেখে চলেছে কিন্তু তারা অধিকার সম্পর্কিত সুবিধাগুলি থেকে বঞ্চিত। বিশেষ অতিথিদের বক্তব্যে সংসদসদস্যগণ বলে, কর্মজীবী নারী’কে ধন্যবাদ জানাই এই দুটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুকে সামনে নিয়ে আসার জন্য। বিউটি পার্লার সেক্টরে নারীদের একটা বড়  কর্মসংস্থান তৈরি হচ্ছে। অন্যদিকে নন-ক্লিনিক্যাল স্বাস্থ্যকর্মীদের কাজেরও প্রসার হচ্ছে। এই জন্য এই খাতগুলির নারীশ্রমিকদের অধিকার বিষয়ক প্রচার বাড়াতে হবে। এই ইস্যুতে নীতি-নির্ধারক, মালিকপক্ষদের অংশগ্রহণ সম্পৃক্ত করতে হবে।

আলোচক প্যানেলের বক্তারা বলেন, গৃহকর্মীদের শ্রমের বিনিময় মূল্য খুব কম। তাদের জন্য একটি নির্দিষ্ট বেতন কাঠামো তৈরি করা অপরিহার্য। মালিকদের জন্য তাদের কর্মীদের অধিকার সম্পর্কে জানাতে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. সেলিনার আক্তার বলেন, অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের কর্মীদের নিয়ে গবেষণার কাজ বাড়াতে হবে এবং তাদের অবস্থা ও অবস্থানের বিষয়টি সরকার-মালিকের গোচরে নিয়ে আসতে এবং তাদের শ্রমকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে নিয়ম-বিধিতে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।

সভাপতির বক্তব্যে নারীশ্রমিক কণ্ঠে’র সমন্বয়ক শিরীন আখতার এমপি, বলেন, অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের ব্যক্তিগত পরিচর্যা এবং স্বাস্থ্যসেবায় নিয়োজিত নন-ক্লিনিক্যাল কর্মীদের ইস্যুটি নীতি-নির্ধারক পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য রাজনৈতিক সদিচ্ছার প্রয়োজন আছে। যে মেয়েগুলি আমাদের সাজিয়ে তুলছে তাদেরকে কে সাজাবে, যারা আমাদের সুস্থ থাকার জন্য পরিচর্যা করছে তাদেরকে কে সুস্থ রাখবে ? তিনি বলেন, সংসদীয় অধিবেশনে এই বিষয়টি তুলে ধরতে হবে এবং এই অর্থ বছরের বাজেটে এই খাতগুলি অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।

কর্মজীবী নারী নারীশ্রমিক কণ্ঠে’র প্লাটফর্মে ব্যক্তিগত পরিচর্যা ও স্বাস্থ্যসেবায় নিয়োজিত নন-ক্লিনিক্যাল কর্মীদের নিয়ে একটি গবেষণা করে ।
আজকে সেই গবেষণার সুপারিশে বলা হয় : কর্মসংস্থান বাড়াতে হবে, শোভন কাজ নিশ্চিত করতে হবে, কর্মীদেও প্রশিক্ষণ ও দক্ষতা বাড়াতে হবে, কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।

হাছিনা আক্তার
সমন্বয়ক
কর্মজীবী নারী,
যোগাযোগ: হাছিনা আক্তার (০১৭১২৪৭৯৫০১)
Click Here for PDF

Pin It on Pinterest