নারী ও শিশু ধর্ষণ বন্ধ ও ন্যায় বিচারের দাবীতে প্রতিবাদ সমাবেশ

নারী ও শিশু ধর্ষণ বন্ধ ও ন্যায় বিচারের দাবীতে প্রতিবাদ সমাবেশ

বিজ্ঞপ্তি
তারিখ: ০৩/০৯/২০১৯

দেশে নারী ও শিশু নির্যাতনের একের পর এক ঘটনায় জাতি আজ উদ্বিগ্ন। চলমান নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনায় দেশব্যাপী বিভিন্ন সংগঠন নানা কর্মসূচির মাধ্যমে প্রতিবাদ জানাচ্ছে যেন আর কোন নারী ও শিশুকে নির্যাতনের শিকার হতে না হয়। কর্মজীবী নারী আজ ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯ মঙ্গলবার, বিকাল : ৩ :৩০ টায় ;  গোল চত্বর, সনি সিনেমা হলের সামনে, মিরপুর-১ এ নারী ও শিশু নির্যাতনের চলমান ঘটনার প্রতিবাদে এক মাবনবন্ধন এর আয়োজন করে।

মানববন্ধনে  লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, নারীর উপর সহিংসতা নতুন কোন বিষয় নয়। শিশু থেকে বৃদ্ধ সকল বয়সের নারী যৌন সহিংসতা ও ধর্ষণের শিকার হচ্ছে; ছেলে শিশুরা ও বলাৎকার থেকে রেহাই পাচ্ছে না। ঘরে, বাইরে, রাস্তাঘাটে, যানবাহনে, কর্মক্ষেত্রে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রতিনিয়ত ধর্ষণ, দলবদ্ধ ধর্ষণ, ধর্ষণের পর হত্যা, ধর্ষণ চেষ্টা বা যৌন হয়রানি, উত্যক্তকরণ, এসিড আক্রমণ সহ নানাবিধ সহিংসতার শিকার হচ্ছে নারী ও শিশু। দেশের প্রতিটি নারী ও শিশু সহিংসতার ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। এর মূল কারণ নারীকে মানুষ হিসাবে গণ্য না করার দৃষ্টিভঙ্গী ও আচরণ। আদিকাল থেকে সমাজের চিন্তা-চেতনা নারীকে অধস্তন অবস্থানে রাখে। নারী বিদ্বেষী দৃষ্টিভঙ্গী ও সংস্কৃতি এক দিকে নারীর উপর সহিংসতা করার প্রবণতা তৈরি ও লালন করে এবং প্রয়োগ করে,অন্যদিকে নির্যাতনের শিকার নারীকেই দোষারোপ করে। সহিংসতাকারী বিনা বিচারে পার পেয়ে যায় বা বিচারের আওতায়ই আসে না।

নারীর উপর নির্যাতন এবং সহিংসতার মাত্রা, ধরন ও নিষ্ঠুরতা বেড়েছে বহুগুণ। নারী বিদ্বেষী মানসিকতা, আচরণ ও সংস্কৃতি পরিহার করতে হবে। এ আচরণ যেই করুক, যেখান থেকেই আসুক, এর বিরুদ্ধে আমাদের প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। নারীর উপর সংঘটিত প্রতিটি অপরাধের সুষ্ঠু বিচার করতে হবে। ঘটনার তদন্তের সাথে সম্পৃক্ত পুলিশ, ডাক্তার ও সংশ্লিষ্ট প্রত্যেকের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। এর জন্য প্রশাসন এবং বিচার ব্যবস্থাকে জনগণের আস্থা ও আশ্রয়স্থলে উন্নীত করতে হবে; সকল অনিয়ম, দুর্নীতি, দুঃশাসন ও অপ-রাজনীতির বেড়াজাল ভেঙে ফেলতে হবে।

আমাদের আহ্বান:

  • নারী ও শিশুর উপর সকল সহিংসতার বিরুদ্ধে জোরালো অবস্থান নির্মাণ করি
  • দেশে আইনের শাসন এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় উদ্যোগী ও ঐক্যবদ্ধ হই
  • সহিংসতার শিকার নারী ও শিশুকে সকল সেবা পেতে সাহায্য করি
  • সহিংসতার ঘটনা লুকিয়ে না রেখে অভিযোগ দাখিল করতে সাহায্য করি
  • নারীর উপর যৌন নির্যাতন ও ধর্ষণ নারীর জন্য লজ্জা না বরং নির্যাতনকারীর লজ্জা, তাই যৌন নির্যাতন ও ধর্ষণের শিকার নারীকে দোষারোপ করার চর্চা বন্ধ করি
  • ভোগ্য বস্তু নয় নারীকে মানুষ ভাবি।

জাতীয় সংসদের কাছে দাবি:

  • কার্য তালিকায় নারীর উপর যৌন সহিংসতা ও ধর্ষণ সংক্রান্ত আইনের প্রয়োগ ও প্রতিবন্ধকতা বিষয় অন্তর্ভুক্ত করুন
  • নারীর উপর যৌন নির্যাতন ও ধর্ষণসহ সকল সহিংসতা প্রতিরোধ ও প্রতিকার করতে যুগোপযোগী আইন প্রণয়ন এবং সংস্কার করুন
  • সহিংসতার শিকার নারীর শারীরিক,মানসিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক ক্ষতিপূরণের বিধান রেখে আইন প্রণয়ন ও সংস্কার করুন।

বিচার বিভাগের  কাছে আবেদন:

  • আইনের শাসন ও ন্যায় বিচার নিশ্চিত করুন
  • নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বিচার কাজ সম্পন্ন করুন।

সরকারের কাছে দাবি:

  • হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও কর্মস্থল এবং প্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানি প্রতিরোধ কমিটি গঠন ও সক্রিয় করুন, জবাবদিহিতা নিশ্চিত করুন
  • থানা, হাসপাতাল ও আদালতকে নারী বান্ধব করার সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ গ্রহণ করুন
  • পাঠ্যসূচীতে নারীর প্রতি নেতিবাচক ও বৈষম্যমূলক বিষয় পরিহার করুন, ইতিবাচক ভাবমূর্তি তুলে ধরুন
  • সরকারী দলিল সমূহ এবং প্রচার মাধ্যমে নারীকে নিয়ে অবমাননাকর শব্দ-বাক্য ব্যবহার বন্ধ করুন
  • জাতীয় পর্যায়ে কমিটি গঠন করে নারীর উপর সহিংসতা, যৌননির্যাতন ও ধর্ষণ সংক্রান্ত সকল আইন বাস্তবায়নের অগ্রগতি ও প্রতিবন্ধকতা নিয়মিত পরিবীক্ষণ এবং যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশনা দিন।

আসুন আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হই
নারীর উপর যেকোন ধরনের নির্যাতন ও সহিংসতার বিরুদ্ধে সোচ্চার হবো এবং রুখে দাঁড়াব; কোন অবস্থায়ই আমরা সঙ্কুচিত হব না, ভীত হব না, পিছপা হব না। আর একজন নারীকেও ধর্ষণের শিকারহতে দেব না, একজন পুরুষকে ও ধর্ষক হতে দেব না।

বার্তা প্রেরক

কাজী গুলশান আরা দিপা
সমন্বয়ক, কর্মজীবী নারী
মোবাইল: ০১৭১৬৮৬৪৪৭২

Post-Press Release:  PDF LINK

ইয়াসমিন হত্যার ২৪ বছর

ইয়াসমিন হত্যার ২৪ বছর

প্রেস বিজ্ঞপ্তি
তারিখ: ২৩/০৮/২০১৯

ইয়াসমিন হত্যার ২৪ বছর
আসুন ধর্ষণ-নিপীড়ন-সহিংসতা প্রতিরোধে সর্বত্র সম্মিলিত আন্দোলন গড়ে তুলি – শিরীন আখতার এমপি

২৪ আগস্ট ২০১৯ গৃহশ্রমিক ইয়াসমিন হত্যার ২৪ বছর। ইয়াসমিনকে স্মরণ করে এবং নারী ও শিশু নির্যাতনের ভয়াবহতায় উদ্বেগ প্রকাশ করে ‘কর্মজীবী নারী’ ২৩ আগস্ট ২০১৯ শুক্রবার শাহবাগের জাতীয় জাদুঘরের সামনে নারীশ্রমিক জমায়েতের আয়োজন করে। ‘ইয়াসমিন হত্যার ২৪ বছর: ধর্ষণ-নিপীড়ন-সহিংসতা প্রতিরোধে সর্বত্র সম্মিলিত আন্দোলন গড়ে তুলি’-এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে নারীশ্রমিক জমায়েতে ‘কর্মজীবী নারী’ নারী ও শিশু নির্যাতন বন্ধে সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। সমাবেশে কর্মজীবী নারী’র নির্বাহী পরিচালক রোকেয়া রফিক এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কর্মজীবী নারী’র প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি শিরীন আখতার এমপি। সমাবেশে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন: জাতীয় গার্হস্থ্য নারীশ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মুর্শিদা আখতার, প্রগতিশীল গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন এর সভাপতি শিরীন সিকদার, গার্মেন্টস নেত্রী শেখ শাহনাজ প্রমুখ। সমাবেশ পরিচালনা করেন কর্মজীবী নারী’র সমন্বয়ক রাজীব আহমেদ। (more…)

সিডও সনদ বাস্তবায়নে পোশাক শিল্প কারখানায় নারীর জন্য নিরাপদ ও নারীবান্ধব কর্মপরিবেশ বিষয়ে গবেষণা হতে প্রাপ্ত ফলাফলসমূহ শ্রমিকদের অবহিত করার লক্ষ্যে নারীশ্রমিক জমায়েত

সিডও সনদ বাস্তবায়নে পোশাক শিল্প কারখানায় নারীর জন্য নিরাপদ ও নারীবান্ধব কর্মপরিবেশ বিষয়ে গবেষণা হতে প্রাপ্ত ফলাফলসমূহ শ্রমিকদের অবহিত করার লক্ষ্যে নারীশ্রমিক জমায়েত

“আগামী জুন মাসের বাজেটে নারীর ঘরের কাজের স্বীকৃতি এবং জিডিপিতেও তার মূল্য অন্তর্ভুক্ত করা হোক”

-শিরিন আখতার এমপি.

আজ ১৭ মে ২০১৯ কর্মজীবী নারীর উদ্যোগে ‘সিডও সনদ বাস্তবায়নে পোশাক শিল্প কারখানায় নারীর জন্য নিরাপদ ও নারীবান্ধব কর্মপরিবেশ বিষয়ে গবেষণা হতে প্রাপ্ত ফলাফলসমূহ শ্রমিকদের অবহিত করার লক্ষ্যে নারীশ্রমিক জমায়েত’ শীর্ষক একটি সভা অনুষ্ঠিত হয় ৪ নং ওয়ার্ড কমিউনিটি সেন্টার, মিরপুর- ১৩ ঢাকা। উক্ত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিরীন আখতার এম.পি। রায় রমেশের মৃত্যুতে কর্মজীবী নারীর শোক প্রকাশ ও শ্রদ্ধা নিবেদন এর মাধ্যমে শুরু হওয়া এই সভায় কর্মজীবী নারীর নির্বাহী পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) সিতি সালমা খান স্বাগত বক্তব্য রাখেন। আরো বক্তব্য রাখেন জাতীয় শ্রমিক জোট বাংলাদেশ এর সহ সাংগঠনিক সম্পাদক (কেন্দ্রীয় কমিটি) শাহীন আক্তার পারভীন, কর্মজীবী নারীর নির্বাহী কমিটির সদস্য এবং সাবেক সাংসদ সদস্য রাফিয়া আক্তার ডলি এবং ধারণা পত্র পাঠ করেন কর্মজীবী নারী’র পরিচালক সানজিদা সুলতানা। অনুষ্ঠানটির সভাপতিত্ব করেন কর্মজীবী নারীর সভাপতি ড. প্রতিমাপাল-মজুমদার।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিরীন আখতার এমপি. সিডও সনদে নারীর অধিকার ও মর্যাদার কথা বলা হয়েছে উল্লেখ করে নারীর ঘরের কাজের মূল্য যেন আগামী জুন মাসের বাজেটে অন্তর্ভুক্ত করা হয় এবং জিডিপি তে নারীর কাজের মূল্য অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানান। সম্প্রতি নুসরাত ও তানিয়ার সাথে ঘটে যাওয়া ঘটনার কথা বর্ণনা করে তিনি নারীর উপর সকল ধরণের নির্যাতন এর জন্য দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন। নারী শ্রমিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন আজ আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে, একদিকে কারখানায় কাজ করবো, আরেকদিকে নিজের মর্যাদা বাড়াবো, একদিকে কারখানায় কাজ করবো, আরেকদিকে নায্য মজুরির দাবি করবো, ওভারটাইমের জন্য লড়াই করবো, সুন্দর জীবন গড়বো।

বক্তব্যে শাহীন আখতার পারভীন বলেন, দীর্ঘ ২৭ বছর ধরে কর্মজীবী নারী নারীশ্রমিকের সমঅধিকার ও সমমর্যাদার জন্য কাজ করছে, তারই প্রেক্ষিতে তিনি বলেন, একজন শ্রমিক কাজ করবে মর্যাদার সাথে নিরাপদ কর্মপরিবেশে।

রাফিয়া আক্তার ডলি তার বক্তব্যে বলেন, অভিবাসী শ্রমিক এবং বাংলাদেশের গার্মেন্ট শ্রমিকদের আয়ের উপরেই এই দেশ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে। তিনি সিডও সনদের দাবি এবং কর্মজীবী নারীর দাবি বাস্তবায়নের উপর জোর দিয়ে শ্রমিকদের একত্রিত হওয়ার আহ্বান জানান। বাংলাদেশের সব আন্দোলন শ্রমিক আন্দোলন দিয়ে শুরু হয়েছে বলে উল্লেখ করে তিনি শ্রমিকের উদ্দেশ্যে বলেন, তাদের দায়িত্ব হলো শ্রমের ন্যায্য মূল্য বুঝে নেওয়া। তিনি তাদেরকে সংঘবদ্ধভাবে ট্রেড ইউনিয়ন গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
কর্মজীবী নারীর সভাপতি ড. প্রতিমা পাল- মজুমদার অনুষ্ঠানের সভাপতির বক্তব্যে বলেন, এই পোশাক শিল্প কারখানার উন্নতির জন্য মালিক- শ্রমিক এবং সরকারের কিছু দায়িত্ব রয়েছে, মালিক যখন শ্রমিকের উপর নির্যাতন করে তখন তার মনের উপর বিরূপ প্রভাব পড়ে ফলে কাজের উৎপাদনশীলতা কমে যায়, এই কারণে উৎপাদনশীলতা ভারসাম্যের জন্য শ্রমিকের কাজের ভালো পরিবেশ যতটুকু জরুরি তার চেয়ে বেশি প্রয়োজন মালিকের জন্য।
বার্তা প্রেরক

সানজিদা সুলতানা
পরিচালক
যোগাযোগ: ফারহানা আফরিন তিথি (০১৫৭১৭৯৬৯৮৭)
—–

প্রেসবিজ্ঞপ্তি
তারিখ: ১৭ মে, ২০১৯

০৭ মে, ২০১৯ মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো  “কর্মক্ষেত্রে নারী শ্রমিকদের যৌন হয়রানি : সংগ্রাম এবং উত্তরণের উপায়” শীর্ষক গবেষণা পত্র উপস্থাপনার একটি সেমিনার।

০৭ মে, ২০১৯ মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো “কর্মক্ষেত্রে নারী শ্রমিকদের যৌন হয়রানি : সংগ্রাম এবং উত্তরণের উপায়” শীর্ষক গবেষণা পত্র উপস্থাপনার একটি সেমিনার।

সুধী,

কর্মজীবী নারী এবং মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন এর পক্ষ থেকে আন্তরিক শুভেচ্ছা।

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক বুনিয়াদের অন্যতম ভিত্তি পোশাক শিল্প। এই শিল্পের সিংহভাগ কর্মী নারী। এই শিল্পের স্থায়ীত্বশীলতার জন্য ইতিমধ্যে নেওয়া হয়েছে নানান উদ্যোগ যার অংশ হিসেবে “জেন্ডার ভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধ ও মোকাবেলা কর্মসূচি” এর আওতায় “নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে” ‘কর্মজীবী নারী’ ও ‘মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন’ যৌথভাবে তৈরী পোশাক শিল্প কারখানায় বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করে আসছে। তারই অংশ হিসেবে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন “কর্মক্ষেত্রে নারী শ্রমিকদের যৌন হয়রানি ; সংগ্রাম এবং উত্তরনের উপায়” শীর্ষক এক গবেষণা সম্পন্ন করেছে।

এ গবেষণায় পোশাক শিল্প কারখানায় যৌন হয়রানির বর্তমান অবস্থা, প্রতিরোধ ও উত্তরণের উপায় পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে। গবেষণাটির তথ্য উপস্থাপনের জন্য আগামি ০৭ মে, ২০১৯ মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাব ( ভি আই পি লাউঞ্জ)-এ সকাল ১০:০০ – ০১:০০টা পর্যন্ত সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন অংশীদারিত্বমূলক প্রতিষ্ঠান, মানবাধিকার, ট্রেড ইউনিয়নসহ নারী শ্রমিক অধিকার বিষয়ে কর্মরত প্রতিষ্ঠানসমূহের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো একটি মতবিনিময় সভা।

কর্মজীবী নারী মানুষের এবং মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন আয়োজিত এ সভায় সম্মানিত অংশগ্রহণকারি সুচিন্তিত বক্তব্য ও দিকনির্দেশনা কর্মক্ষেত্রে নারী শ্রমিকদের জন্য নিরাপদ কর্মপরিবেশ বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভ’মিকা রাখবে।

ধন্যবাদসহ

 

রোকেয়া রফিক
নির্বাহী পরিচালক, কর্মজীবী নারী

নারীর জন্য নিরাপদ কর্ম পরিবেশ নিশ্চিত করতে হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ি পূর্ণাঙ্গ আইন প্রণয়ন করা হোক

নারীর জন্য নিরাপদ কর্ম পরিবেশ নিশ্চিত করতে হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ি পূর্ণাঙ্গ আইন প্রণয়ন করা হোক

প্রেসবিজ্ঞপ্তি
৩১ মে, ২০১৮

নারীর জন্য নিরাপদ কর্মপরিবেশের দাবিতে চলমান আন্দোলন তখনই সফল হতে পারে যখন ওই দাবির সাথে হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ি প্রতিটি কর্মস্থলে যৌনহয়রানি প্রতিরোধ কমিটি গঠন নিশ্চিত করা যাবে এবং যৌনহয়রানি প্রতিরোধ ও সুরক্ষা’র পূর্ণাঙ্গ আইন প্রণয়ন করা যাবে, বলেছেন কর্মজীবী নারী-র নির্বাহী পরিচালক রোকেয়া রফিক।

কর্মস্থলে যৌনহয়রানি সহ অন্যান্য নিপীড়ন প্রতিরোধে নির্দিষ্ট আইনি কাঠামো এবং জাতীয় পর্যায়ে এই ইস্যুতে যথেষ্ঠ মনযোগের অভাব রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “ বর্তমানে জেনেভায় যে লেবার কনফারেন্স চলছে তাতে ট্রেড ইউনিয়ন সহ অন্যান্য আরো অনেক বিষয়ে প্রস্তাবনা থাকলেও নারী প্রধান এই শিল্পে নারীর জন্য নিরাপদ ও সুরক্ষিত কর্মপরিবেশ কিভাবে গড়ে তোলা যায় সেই বিষয়ে কোনো প্রস্তাবনা নেই”।

কর্মজীবী নারী, গ্রীন বাংলা গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ফেডারেশন, বাংলাদেশ প্রোগ্রেসিভ গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ফেডারেশন, বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক জোট, বাংলাদেশ তৃণমূল গার্মেন্টস শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শ্রমিকদল, জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক জোট- বাংলাদেশ এবং পোশাক শিল্প শ্রমিক জোট-এর আয়োজনে আশুলিয়া এলাকায় পেন্টা ফোর্থ এপারেলস লিমিটেড- এ গত সোমবারে ঘটে যাওয়া এক নারী শ্রমিকের উপর নৃশংস ধর্ষণের ঘটনার প্রতি তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে ঢাকার জাতীয় প্রেসক্লাব প্রাঙ্গনে এক মানব বন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

কর্মজীবী নারী’র পরিচালক সানজিদা সুলতানার সঞ্চালনায় এই মানব বন্ধনে সংহতি মূলক বক্তব্য রাখেন মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের পরিচালনা মন্ডলীর সদস্য রীনা রায় ও ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার সোমা দত্ত, বøাস্টের প্রতিনিধি অটল চন্দ্র সরকার, গার্মেন্টস শ্রমিক জোট বাংলাদেশের সভাপতি সরদার খোরশেদ, জাতীয় শ্রমিক জোট বাংলাদেশের ঢাকা মহানগর কমিটির দপ্তর সম্পাদক রাবেয়া আখতার এবং বিভিন্ন ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশনের নেতৃবৃন্দ।

জাতীয় প্রেসক্লাব প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত দীর্ঘ এই মানব বন্ধনটি নির্দিষ্ট কতগুলো দাবি উল্লেখ করার মধ্যে দিয়ে শুরু হয়। এক ঘন্টা ব্যাপী স্থায়ীত্বকালের এই মানব বন্ধনটিতে নৃসংশ এই ধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদে জাতীয় শ্রমিক জোট বাংলাদেশের দপ্তর সম্পাদক রাবেয়া আখতার বলেন, “ শ্রম আইন অনুযায়ি একজন নারী শ্রমিককে দিয়ে রাত্রী কালিন কাজ করাতে হলে শ্রমিকের অনুমতি নিতে হবে এবং নিরাপদ কর্মক্ষেত্র নিশ্চিত করতে হবে । তিনি তার বক্তব্যে এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের দাবি করেন”।

বক্তারা অভিযুক্ত দুই ধর্ষকের উপযুক্ত শাস্তি, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের ধর্ষণের শিকার নারী শ্রমিকের চিকিৎসার ব্যয়ভার গ্রহণ, ধর্ষণের ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের ব্যবস্থা গ্রহণ এবং হাইকোর্টের নির্দেশে কর্মস্থলে যৌন হয়রানি প্রতিরোধ কমিটি গঠনের প্রতি জোর দেন।

নারীর জন্য নিরাপদ কর্মক্ষেত্র নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আজকের এই মানববন্ধন থেকে যে দাবি সমূহ উঠে এসেছে:
১. অবিলম্বে ধর্ষক রুবেল, শাহিনুর এবং কারখানা কর্তৃপক্ষের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত কর।
২. ‘যৌন হয়রানি প্রতিরোধ কমিটি’ গঠন বিষয়ে হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানি প্রতিরোধ ও সুরক্ষা আইন প্রণয়ন কর।
৩. হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী কারখানাসহ সকল প্রকার কর্মক্ষেত্রে ‘যৌন হয়রানি প্রতিরোধ কমিটি’ গঠন নিশ্চিত কর।

অনুষ্ঠান : মানববন্ধন
বিষয় : পোশাক শিল্পের নারী শ্রমিককে কারখানার অভ্যন্তরে ধর্ষণের প্রতিবাদ এবং অভিযুক্তকারীদের শাস্তির দাবি
তারিখ, স্থান ও সময় : ৩১ মে, ২০১৮;জাতীয় প্রেসক্লাব চত্তর, ঢাকা: সকাল ১১ টা

অনুগ্রহপূর্বক উক্ত আয়োজনে আপনার বহুল প্রচারিত জাতীয় দৈনিক / দর্শক নন্দিত টেলিভিশন চ্যানেল / বার্তা সংস্থায় এই মানব বন্ধনের খবর ও ছবি ছাপানোর অনুরোধ করছি।

আপনাদের অব্যাহত সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ।

বার্তা প্রেরক
সানজিদা সুলতানা
পরিচালক (কর্মসূচী)
কর্মজীবী নারী

যোগাযোগ: আল জাহিদ, প্রজেক্ট অফিসার, কর্মজীবীনারী
মোবাইল: ০১৬৮৬১৬০৬২৯

Pin It on Pinterest