Sep 4, 2019 | Newspaper Clip
স্টাফ রিপোর্টারঃ সকল শ্রেণি–পেশা নির্বিশেষে নারীর অধিকার ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ‘কর্মজীবী নারী’ ১৯৯১ সাল থেকে নারী ও নারীশ্রমিকের ক্ষমতায়নের প্রচেষ্টার মধ্য দিয়ে নারীর মর্যাদা বৃদ্ধি এবং জাতীয় অগ্রগতিতে নারীর অবদান রাখার বিষয়ে প্রয়াস চালিয়ে আসছে।
দেশের প্রতিটি নারী ও শিশু সহিংসতার ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। ঘরে, বাইরে, রাস্তাঘাটে, যানবাহনে, কর্মক্ষেত্রে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রতিনিয়ত ধর্ষণ, দলবদ্ধ ধর্ষণ, ধর্ষণের পর হত্যা, ধর্ষণ চেষ্টা বা যৌন হয়রানি, উত্যক্তকরণ সহ নানাবিধ সহিংসতার শিকার হচ্ছে নারী ও শিশু। পত্রিকাসূত্রে, জানুয়ারী–জুন ২০১৯ পর্যন্ত ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ৬৩০ জন নারী; এর মধ্যে একজন দ্বারা ধর্ষণ ৪৬৪ জন ও দলবদ্ধ ধর্ষণ ১৫৩ জন। ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে ৩৭ জনকে। ধর্ষণের শিকার হয়ে আত্মহত্যা করেছেন ৭ জন। ধর্ষণের চেষ্টা হয়েছে ১০৫ জন নারীর উপর; এরমধ্যে হত্যা করা হয়েছে ১ জনকে, আত্মহত্যা করেছেন ১ জন। যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন ১২৭ জন, এরমধ্যে আত্মহত্যা করেছেন ৮ জন। ধর্ষণের প্রতিবাদ করায় খুন হয়েছে ৩ জন নারী ও ২ জন পুরুষ।
একের পর এক র্নিমম ঘটনা আমাদের মধ্যে উদ্বেগ– উৎকন্ঠা তৈরি করছে। এই পরিস্থিতিতে ‘র্কমজীবী নারী’ নারী ও শিশু র্নিযাতন বন্ধে ‘যৌন আক্রমন আর না!!!’ এই প্রতিপাদ্যকে ধারন করে ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯, মঙ্গলবার, বিকাল : ৩ :৩০ টায় ; গোল চত্বর, সনি সিনেমা হলের সামনে, মিরপুর–১ এ এক প্রতিবাদ সমাবেশ এর আয়োজন করতে যাচ্ছে। উক্ত সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন কর্মজীবী নারী’র প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি শিরীন আখতার এমপি। বক্তব্য রাখবেন কর্মজীবী নারী’র সহ–সভাপতি উম্মে হাসান ঝলমল ও নির্বাহী পরিচালক রোকেয়া রফিক। সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখবেন নারীশ্রমিকনেতৃবৃন্দ, নারীনেতৃবৃন্দ ও উন্নয়ন সংগঠনের কর্মীবৃন্দ ।
অনুষ্ঠান : তারিখ, স্থান ও সময় :
০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯, মঙ্গলবার, বিকাল : ৩:৩০ টা ; গোল চত্বর, সনি সিনেমা হল, মিরপুর–০১, ঢাকা
Link: bdsangbadmela | PDF
Sep 3, 2019 | Newspaper Clip
স্টাফ রিপোর্টারঃ
দেশে নারী ও শিশু নির্যাতনের একের পর এক ঘটনায় জাতি আজ উদ্বিগ্ন। চলমান নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনায় দেশব্যাপী বিভিন্ন সংগঠন নানা কর্মসূচির মাধ্যমে প্রতিবাদ জানাচ্ছে যেন আর কোন নারী ও শিশুকে নির্যাতনের শিকার হতে না হয়। কর্মজীবী নারী আজ ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯ মঙ্গলবার, বিকাল সারে তিনটায় মিরপুর সনি সিনেমা হলের সামনে নারী ও শিশু নির্যাতনের চলমান ঘটনার প্রতিবাদে এক মাবনবন্ধন এর আয়োজন করে।
মানববন্ধনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, নারীর উপর সহিংসতা নতুন কোন বিষয় নয়। শিশু থেকে বৃদ্ধ সকল বয়সের নারী যৌন সহিংসতা ও ধর্ষণের শিকার হচ্ছে; ছেলে শিশুরা ও বলাৎকার থেকে রেহাই পাচ্ছে না। ঘরে, বাইরে, রাস্তাঘাটে, যানবাহনে, কর্মক্ষেত্রে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রতিনিয়ত ধর্ষণ, দলবদ্ধ ধর্ষণ, ধর্ষণের পর হত্যা, ধর্ষণ চেষ্টা বা যৌন হয়রানি, উত্যক্তকরণ, এসিড আক্রমণ সহ নানাবিধ সহিংসতার শিকার হচ্ছে নারী ও শিশু। দেশের প্রতিটি নারী ও শিশু সহিংসতার ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। এর মূল কারণ নারীকে মানুষ হিসাবে গণ্য না করার দৃষ্টিভঙ্গী ও আচরণ। আদিকাল থেকে সমাজের চিন্তা-চেতনা নারীকে অধস্তন অবস্থানে রাখে। নারী বিদ্বেষী দৃষ্টিভঙ্গী ও সংস্কৃতি এক দিকে নারীর উপর সহিংসতা করার প্রবণতা তৈরি ও লালন করে এবং প্রয়োগ করে,অন্যদিকে নির্যাতনের শিকার নারীকেই দোষারোপ করে। সহিংসতাকারী বিনা বিচারে পার পেয়ে যায় বা বিচারের আওতায়ই আসে না।
নারীর উপর নির্যাতন এবং সহিংসতার মাত্রা, ধরন ও নিষ্ঠুরতা বেড়েছে বহুগুণ। নারী বিদ্বেষী মানসিকতা, আচরণ ও সংস্কৃতি পরিহার করতে হবে।
এ আচরণ যেই করুক, যেখান থেকেই আসুক, এর বিরুদ্ধে আমাদের প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। নারীর উপর সংঘটিত প্রতিটি অপরাধের সুষ্ঠু বিচার করতে হবে। ঘটনার তদন্তের সাথে সম্পৃক্ত পুলিশ, ডাক্তার ও সংশ্লিষ্ট প্রত্যেকের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। এর জন্য প্রশাসন এবং বিচার ব্যবস্থাকে জনগণের আস্থা ও আশ্রয়স্থলে উন্নীত করতে হবে; সকল অনিয়ম, দুর্নীতি, দুঃশাসন ও অপ-রাজনীতির বেড়াজাল ভেঙে ফেলতে হবে।
আমাদের আহ্বান: নারী ও শিশুর উপর সকল সহিংসতার বিরুদ্ধে জোরালো অবস্থান নির্মাণ করি, দেশে আইনের শাসন এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় উদ্যোগী ও ঐক্যবদ্ধ হই, সহিংসতার শিকার নারী ও শিশুকে সকল সেবা পেতে সাহায্য করি, সহিংসতার ঘটনা লুকিয়ে না রেখে অভিযোগ দাখিল করতে সাহায্য করি , নারীর উপর যৌন নির্যাতন ও ধর্ষণ নারীর জন্য লজ্জা না বরং নির্যাতনকারীর লজ্জা, তাই যৌন নির্যাতন ও ধর্ষণের শিকার নারীকে দোষারোপ করার চর্চা বন্ধ করি, ভোগ্য বস্তু নয় নারীকে মানুষ ভাবি।
জাতীয় সংসদের কাছে দাবি: কার্য তালিকায় নারীর উপর যৌন সহিংসতা ও ধর্ষণ সংক্রান্ত আইনের প্রয়োগ ও প্রতিবন্ধকতা বিষয় অন্তর্ভুক্ত করুন, নারীর উপর যৌন নির্যাতন ও ধর্ষণসহ সকল সহিংসতা প্রতিরোধ ও প্রতিকার করতে যুগোপযোগী আইন প্রণয়ন এবং সংস্কার করুন, সহিংসতার শিকার নারীর শারীরিক,মানসিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক ক্ষতিপূরণের বিধান রেখে আইন প্রণয়ন ও সংস্কার করুন। |
|
বিচার বিভাগের কাছে আবেদন:
আইনের শাসন ও ন্যায় বিচার নিশ্চিত করুন
নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বিচার কাজ সম্পন্ন করুন।
সরকারের কাছে দাবি:
হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও কর্মস্থল এবং প্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানি প্রতিরোধ কমিটি গঠন ও সক্রিয় করুন, জবাবদিহিতা নিশ্চিত করুন
থানা, হাসপাতাল ও আদালতকে নারী বান্ধব করার সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ গ্রহণ করুন,
পাঠ্যসূচীতে নারীর প্রতি নেতিবাচক ও বৈষম্যমূলক বিষয় পরিহার করুন, ইতিবাচক ভাবমূর্তি তুলে ধরুন,
সরকারী দলিল সমূহ এবং প্রচার মাধ্যমে নারীকে নিয়ে অবমাননাকর শব্দ-বাক্য ব্যবহার বন্ধ করুন,
জাতীয় পর্যায়ে কমিটি গঠন করে নারীর উপর সহিংসতা, যৌননির্যাতন ও ধর্ষণ সংক্রান্ত সকল আইন বাস্তবায়নের অগ্রগতি ও প্রতিবন্ধকতা নিয়মিত পরিবীক্ষণ এবং যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশনা দিন।
আসুন আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হই
নারীর উপর যেকোন ধরনের নির্যাতন ও সহিংসতার বিরুদ্ধে সোচ্চার হবো এবং রুখে দাঁড়াব; কোন অবস্থায়ই আমরা সঙ্কুচিত হব না, ভীত হব না, পিছপা হব না। আর একজন নারীকেও ধর্ষণের শিকারহতে দেব না, একজন পুরুষকে ও ধর্ষক হতে দেব না।
Link: bdsangbadmela | PDF
Aug 28, 2019 | Newspaper Clip
Karmajibi Nari holds a rally in front of National Museum in Dhaka on Friday marking the 24th anniversary of the killing of Yasmin Akhter. — New Age photo
Staff Correspondent | Published: 00:18, Aug 24,2019
The 24th anniversary of the killing of Yasmin by some policemen after gang-rape would be observed today.
The killing on this day in 1995 pivoted an uprising of people from all strata in Dinajpur against the brutality and police had opened fire on the demonstrators killing seven of the protesters.
Since then the day had been observed as Women Repression Prevention Day.
Two police personnel — assistant sub-inspector Mainul Islam, constable Abdus Sattar — and pickup van driver Amrit Lal had been executed on August 31, 2007 in a case filed with Kotwali Police Station against killing Yasmin.
To mark the day, different women and socio-cultural organisations chalked out programmes to observe the day.
The programmes include placing wreaths at the grave of Yasmin, holding discussions, day-long doa mahfil and special prayer.
Samajtantrik Mahila Forum will hold a protest rally in front of National Press Club around 11:00am demanding to stop repressing women. Nari Mukti Kendra will hold another protest rally in front of National Press Club around 4:30pm.
Nari Samhati held a protest rally in front of National Museum around 4:00pm on Friday.
Link: New Age BD | PDF
Aug 24, 2019 | Newspaper Clip
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২৪ আগস্ট ২০১৯, ১৭:২৯
‘ইয়াসমিন হত্যার ২৪ বছর: ধর্ষণ-নিপীড়ন-সহিংসতা প্রতিরোধে সর্বত্র সম্মিলিত আন্দোলন গড়ে তুলি’ স্লোগানে গৃহকর্মী ইয়াসমিন স্মরণে এবং নারী ও শিশু নির্যাতনের ভয়াবহতায় উদ্বেগ প্রকাশ জানিয়ে সমাবেশ করেছে ‘কর্মজীবী নারী’ নামে একটি সংগঠন।
শুক্রবার রাজধানীর শাহবাগস্থ জাতীয় জাদুঘরের সামনে এই সমাবেশ করা হয়।
সমাবেশে কর্মজীবী নারী’র নির্বাহী পরিচালক রোকেয়া রফিক এর সভাপতিত্বে ও সংগঠনের সমন্বয়ক রাজীব আহমেদ এর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন কর্মজীবী নারী’র প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি শিরীন আক্তার এমপি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিরীন আখতার এমপি বলেন, ইয়াসমিন হত্যার ২৪ বছর পরও একই ঘটনা এখনও চলছে। আজকে দুই থেকে সাত বছরের শিশু ধর্ষিত হচ্ছে। এরা কেমন পুরুষ! এদের বিরুদ্ধে গণজাগরণ গড়ে তুলতে হবে। সেই সাথে নির্যাতনের ঘটনার দ্রুত বিচার নিষ্পত্তির জন্য নতুন আইন করতে হবে। আইনজীবীদের প্রতি আহ্বান আপনারা কোন অপরাধীর পক্ষে দাঁড়াবেন না। সেইসাথে এমন একটা আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে যেন শিশুরা একা স্কুলে যেতে পারে, খেলতে পারে, একা নারীরা চলাফেরা করতে পারে। তিনি নারী সমাজের প্রতি রাজধানী থেকে গ্রাম পর্যন্ত সংগঠিত আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
এছাড়া অন্যান্য বক্তারা বলেন, ইয়াসমিন হত্যার ২৪ বছর হলো কিন্তু নারী নির্যাতন বন্ধ তো হয়নি ছোট থেকে বড় সকল বয়সের মেয়ে শিশুরাই ধর্ষণের শিকার হচ্ছে। ঘৃণ্য অপরাধীরা অপরাধ ধামাচাপা দেয়ার জন্য ধর্ষণের পর হত্যাও করছে। নারী-পুরুষের সমঅধিকার প্রতিষ্ঠা, খেটে-খাওয়া মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার যেই স্বপ্ন নিয়ে এই দেশ স্বাধীন হয়েছিল সেখানে আমরা বার বার হোঁচট খাচ্ছি। একের পর এক নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা আমাদের উদ্বিগ্ন করে তুলছে ! ঘুরে-ফিরে একই প্রশ্ন বার বার নির্যাতন ও সহিংসতা কেন কমছে না, কোথায় আমাদের গলদ ? বর্তমান সময়ের রিফাত হত্যার ঘটনায় তার স্ত্রী মিন্নিকে নানাভাবে হেনস্থা করা হচ্ছে কেন ? নারী বলেই কি মিন্নির প্রতি অমানবিকতা? ইয়াসমিনের হত্যাকারীদের ফাঁসি আমাদের জন্য একটি দৃষ্টান্ত। বক্তারা সমাবেশ থেকে প্রতিটি নির্যাতনের বিচার দাবি করেন এবং অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন। সেই সাথে প্রশাসনকে নারী নির্যাতন বন্ধে এগিয়ে আসা এবং দায়িত্ব পালনে কঠোর হওয়ার আহ্বান জানান।
এসময় সমাবেশে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন জাতীয় গার্হস্থ্য নারীশ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মুর্শিদা আক্তার, প্রগতিশীল গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন এর সভাপতি শিরীন সিকদার, গার্মেন্টস নেত্রী শেখ শাহনাজ প্রমুখ।
মানবকণ্ঠ/এআইএস
Link: Manob Kantha | PDF
Aug 24, 2019 | Newspaper Clip
24 August, 2019 12:00 AM
Karmojibi Nari forms a human chain in front of the National Museum in the city’s Shahbagh area on Friday demanding an end to violence against women. —SUN photo
Link: Daily Sun | e-paper | PDF