প্রেস বিজ্ঞপ্তি | জাতীয় ও স্থানীয় শ্রমিক নেতৃবৃন্দের সাথে রপ্তানীমুখী শিল্পের কর্মহীন ও দুঃস্থ শ্রমিকদের জন্য সামাজিক সহায়তা কার্যক্রম বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত
আজ ২ এপ্রিল ২০২৪ মঙ্গলবার, সকাল ১১ টায় বেসরকারি উন্নয়ন সংগঠন কর্মজীবী নারী মিরপুর-11 তে বিসিসিপি এর হল রুমে জাতীয় ও স্থানীয় শ্রমিক নেতৃবৃন্দের সাথে এক কর্মশালার আয়োজন করে। উক্ত কর্মশালায় সভাপতিত্ব করবেন কর্মজীবী নারীর সহ–সভাপতি উম্মে হাসান ঝলমল।
কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সাকিউন নাহার, সাবেক অতিরিক্ত সচিব, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রনালয়। আলোচক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, নইমুল আহসান জুয়েল, যুগ্ম সমন্বয়ক জি–স্কপ ও সাধারণ সম্পাদক, জাতীয় শ্রমিক জোট বাংলাদেশ, আব্দুল ওয়াহেদ, কার্যকরী সভাপতি, জাতীয় শ্রমিক জোট, সিরাজুল ইসলাম রনি, সভাপতি, বাংলাদেশ জাতীয় গামেন্টস শ্রমিক কর্মচারী লীগ, খালেকুজ্জামান লিপন, সহ–সভাপতি, গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্ট, আসাদুজ্জামান রুমন, এডভাইজারজিআইজেড।
শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন কর্মজীবী নারী’র অতিরিক্ত নির্বাহী পরিচালক, সানজিদা সুলতানা ও টিএসএসএসআর এর প্রতিনিধি সৈয়দ সাদিয়া হাসান। মুল বিষয় বস্তুর উপরে পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপন করেন জেহিন মাহমুদ ও রিনা আমিনা। কর্মশালাটি পরিচালনা করেন কর্মজীবী নারী’র সমন্বয়ক রাজীব আহমেদ। কর্মশালায় আরো উপস্থিত থেকে গুরুত্বপূর্ণ মতামত প্রদান করবেন ১৪ টি সেক্টরাল ফেডারেশন এর নেতৃবৃন্দ।
সাকিউন নাহার তার বক্তব্যে বলেন, ২০২০ সালে বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারীকালীন সময়ে, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ও জার্মান সরকারের আর্থিক সহায়তায় বাংলাদেশ সরকার রপ্তানী মুখী শিল্প কারখানার কর্মহীন ও দুঃস্থ শ্রমিকদের জন্য একটি সামাজিক সুরক্ষা কার্যক্রম চালু করে।
একই সাথের প্তানীমুখী শিল্পের কর্মহীন হয়ে পড়া ও দুঃস্থ শ্রমিকদের সামাজিক সুরক্ষা কার্যক্রমের আওতায় সরকার প্রাথমিক ভাবে রপ্তানীমুখীতৈ রিপোশাক এবং জুতা ও চামড়াজাত পণ্যশিল্পের ৪টি মালিক সংগঠনের আওতাভুক্ত কারখানার শ্রমিকদের শর্তপূরণ ও যাচাই সাপেক্ষে নির্দিষ্ট পরিমান আর্থিক সহায়তা প্রদান করছে।এই কর্মসূচীতে আমরা ৮টাসেক্টরের সাথে কাজ করি।যাদের জন্য প্রোগ্রাম তাদের জানানোর চেষ্টা করছি কর্মজীবী নারীর এর সাথে মিলে।এই কার্যক্রম সফল করতে আপনাদের সহযোগিতা ও পরামর্শ চাই।
আসাদুজ্জামান রুমন বলেন, বলেন, শ্রম অধিদপ্তরের ৫২ টা অফিস আছে সারা দেশে। সেখানে গেলেই রেজিষ্ট্রেশন করতে পারবেন শ্রমিকরা। ঢাকায় আসতে হবে না। স্থানীয় অধিদপ্তরে গেলেই হবে। ভেরিফিকেশনে– শ্রমিক নির্দিষ্ট কারখানায় কাজ করেছেকিনা সেই বিষয় নিশ্চিত করতে চাই। কাজের ট্রান্সপারেন্সিটা রাখতে চাই।
সৈয়দ সাদিয়া হাসান বলেন, আমরা BGMEA এর কাছে কর্মহীন শ্রমিকদের লিস্ট পাঠিয়েছি, একটু সময় নিলেও কোনো লিস্ট ফিরিয়ে দেয়নি তারা। সেই লিস্ট থেকে অনেকেই সহায়তা পেয়েছেন– আবার কেউ কেউ পায়নি।
শ্রমিক নেতারা বলেন, ৪ বছর ধরে শুনি টাকা পাবে, কিন্তু পাচ্ছে কোথায়? আয়োজন মনে হয় বিশাল, কিন্তুশেষেকিছুইহয়না।শ্রমিক অন্যায় না করলে ও চাকরীর থেকে রিজাইন নিতে বাধ্য করে কারখানার মালিক।শতকরা ৯০জন শ্রমিক ভুক্তে ভোগী। শ্রমিকরা ভাসমান ভাবে শ্রম এলাকায় বসবাস করেন।সেক্ষেত্রে কর্মহীন শ্রমিক পাওয়া কঠিন। করণ কাজ নাথাকলে শ্রমিকরা গ্রামে চলে যায়।
শ্রমিক নেতারা আরো বলেন, করোনার সময় ছাড়াও এখনো শ্রমিক ছাটাই হচ্ছে, অনেকে অসুস্থ হয়ে চাকরীচুত্য হচ্ছে। তাদের ফেডারেশনের মাধ্যমে রেজিঃ করতে পারলে ভালো হয়। কিন্তু আমরা রেজিষ্ট্রেশন করার সহজ উপায় পাইনি। কর্মহীন শ্রমীক গ্রামে চলে গেছে, তাহলে সে কিভাবে রেজিঃ করতে পারবে–এ কি সম্ভব! BBGMEA & BKMEA ই লাথি মেরে বের করে দিছে, তারা কিভাবে সাহায্য করবে শ্রমিকদরে। ট্রেড ইউনিয়ন শ্রমিকের চাদায় চলে। এখানে যে সমস্যাগুলো নিয়ে আলোচনা করা হলো তা সব সময়ই শুনি, তবে সমস্যা গুলো EU & giz এর উদ্যোগে কিছুটা সহজ সমাধানের উপায় আছে বলে মনে হচ্ছে। ট্রেড ইউনিয়নকে সুযোগ দেন, শ্রমিকদের খোঁজ করা, প্রচারপ্রচারনাকরারজন্য।
বার্তা প্রেরক
রাজীব আহমেদ
সমন্বয়ক, (প্রোগ্রাম) কর্মজীবী নারী
যোগাযোগ: 01726291664 | PDF
KarmojibiNari: 159/A, Regent parbata Grand, Shusona, Apartment -102 & 104, Senpara, Parbata, Mirpur, Dhaka.