Anniversary of Karmojibi Nari’s (KN)

Anniversary of Karmojibi Nari’s (KN)

On the 33rd anniversary of Karmojibi Nari’s (KN), we would like to extend sincere gratitude and share our happiness with you!


Together, let us celebrate this achievement and recommit to empowering women in the workforce. On the eve of International Workers’ Daylet’s honor the contributions of workers worldwide and continue striving for fair labor practices and equality for all.
প্রেস বিজ্ঞপ্তি | জাতীয় ও স্থানীয় শ্রমিক নেতৃবৃন্দের সাথে রপ্তানীমুখী শিল্পের কর্মহীন ও দুঃস্থ শ্রমিকদের জন্য সামাজিক সহায়তা কার্যক্রম বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত

প্রেস বিজ্ঞপ্তি | জাতীয় ও স্থানীয় শ্রমিক নেতৃবৃন্দের সাথে রপ্তানীমুখী শিল্পের কর্মহীন ও দুঃস্থ শ্রমিকদের জন্য সামাজিক সহায়তা কার্যক্রম বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত

আজ ২ এপ্রিল ২০২৪ মঙ্গলবার, সকাল ১১ টায় বেসরকারি উন্নয়ন সংগঠন কর্মজীবী নারী মিরপুর-11 তে বিসিসিপি এর হল রুমে জাতীয় ও স্থানীয় শ্রমিক নেতৃবৃন্দের সাথে এক কর্মশালার আয়োজন করে। উক্ত কর্মশালায় সভাপতিত্ব করবেন কর্মজীবী নারীর সহসভাপতি উম্মে হাসান ঝলমল।

কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সাকিউন নাহার, সাবেক অতিরিক্ত সচিব, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রনালয়। আলোচক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, নইমুল আহসান জুয়েল, যুগ্ম সমন্বয়ক জিস্কপ ও সাধারণ সম্পাদক, জাতীয় শ্রমিক জোট বাংলাদেশ, আব্দুল ওয়াহেদ, কার্যকরী সভাপতি, জাতীয় শ্রমিক জোট, সিরাজুল ইসলাম রনি, সভাপতি, বাংলাদেশ জাতীয় গামেন্টস শ্রমিক কর্মচারী লীগ, খালেকুজ্জামান লিপন, সহসভাপতি, গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্ট, আসাদুজ্জামান রুমন, এডভাইজারজিআইজেড।

শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন কর্মজীবী নারীর অতিরিক্ত নির্বাহী পরিচালক, সানজিদা সুলতানা ও টিএসএসএসআর এর প্রতিনিধি সৈয়দ সাদিয়া হাসান। মুল বিষয় বস্তুর উপরে পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপন করেন জেহিন মাহমুদ ও রিনা আমিনা। কর্মশালাটি পরিচালনা করেন কর্মজীবী নারীর সমন্বয়ক রাজীব আহমেদ। কর্মশালায় আরো উপস্থিত থেকে গুরুত্বপূর্ণ মতামত প্রদান করবেন ১৪ টি সেক্টরাল ফেডারেশন এর নেতৃবৃন্দ। 

সাকিউন নাহার তার বক্তব্যে বলেন, ২০২০ সালে বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারীকালীন সময়ে, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ও জার্মান সরকারের আর্থিক সহায়তায় বাংলাদেশ সরকার রপ্তানী মুখী শিল্প কারখানার কর্মহীন ও দুঃস্থ শ্রমিকদের জন্য একটি সামাজিক সুরক্ষা কার্যক্রম চালু করে।

একই সাথের প্তানীমুখী শিল্পের কর্মহীন হয়ে পড়া ও দুঃস্থ শ্রমিকদের সামাজিক সুরক্ষা কার্যক্রমের আওতায় সরকার প্রাথমিক ভাবে রপ্তানীমুখীতৈ রিপোশাক এবং জুতা ও চামড়াজাত পণ্যশিল্পের ৪টি মালিক সংগঠনের আওতাভুক্ত কারখানার শ্রমিকদের শর্তপূরণ ও যাচাই সাপেক্ষে নির্দিষ্ট পরিমান আর্থিক সহায়তা প্রদান করছে।এই কর্মসূচীতে আমরা ৮টাসেক্টরের সাথে কাজ করি।যাদের জন্য প্রোগ্রাম তাদের জানানোর চেষ্টা করছি কর্মজীবী নারীর এর সাথে মিলে।এই কার্যক্রম সফল করতে আপনাদের সহযোগিতা ও পরামর্শ চাই।

আসাদুজ্জামান রুমন বলেন, বলেন, শ্রম অধিদপ্তরের ৫২ টা অফিস আছে সারা দেশে। সেখানে গেলেই রেজিষ্ট্রেশন করতে পারবেন শ্রমিকরা। ঢাকায় আসতে হবে না। স্থানীয় অধিদপ্তরে গেলেই হবে। ভেরিফিকেশনেশ্রমিক নির্দিষ্ট কারখানায় কাজ করেছেকিনা সেই বিষয় নিশ্চিত করতে চাই। কাজের ট্রান্সপারেন্সিটা রাখতে চাই।

সৈয়দ সাদিয়া হাসান বলেন, আমরা BGMEA এর কাছে কর্মহীন শ্রমিকদের লিস্ট পাঠিয়েছি, একটু সময় নিলেও কোনো লিস্ট ফিরিয়ে দেয়নি তারা। সেই লিস্ট থেকে অনেকেই সহায়তা পেয়েছেনআবার কেউ কেউ পায়নি।

শ্রমিক নেতারা বলেন, ৪ বছর ধরে শুনি টাকা পাবে, কিন্তু পাচ্ছে কোথায়? আয়োজন মনে হয় বিশাল, কিন্তুশেষেকিছুইহয়না।শ্রমিক অন্যায় না করলে ও চাকরীর থেকে রিজাইন নিতে বাধ্য করে কারখানার মালিক।শতকরা ৯০জন শ্রমিক ভুক্তে ভোগী। শ্রমিকরা ভাসমান ভাবে শ্রম এলাকায় বসবাস করেন।সেক্ষেত্রে কর্মহীন শ্রমিক পাওয়া কঠিন। করণ কাজ নাথাকলে শ্রমিকরা গ্রামে চলে যায়।

শ্রমিক নেতারা আরো বলেন, করোনার সময় ছাড়াও এখনো শ্রমিক ছাটাই হচ্ছে, অনেকে অসুস্থ হয়ে চাকরীচুত্য হচ্ছে। তাদের ফেডারেশনের মাধ্যমে রেজিঃ করতে পারলে ভালো হয়। কিন্তু আমরা রেজিষ্ট্রেশন করার সহজ উপায় পাইনি। কর্মহীন শ্রমীক গ্রামে চলে গেছে, তাহলে সে কিভাবে রেজিঃ করতে পারবেএ কি সম্ভব! BBGMEA & BKMEA ই লাথি মেরে বের করে দিছে, তারা কিভাবে সাহায্য করবে শ্রমিকদরে। ট্রেড ইউনিয়ন শ্রমিকের চাদায় চলে। এখানে যে সমস্যাগুলো নিয়ে আলোচনা করা হলো তা সব সময়ই শুনি, তবে সমস্যা গুলো EU & giz এর উদ্যোগে কিছুটা সহজ সমাধানের উপায় আছে বলে মনে হচ্ছে। ট্রেড ইউনিয়নকে সুযোগ দেন, শ্রমিকদের খোঁজ করা, প্রচারপ্রচারনাকরারজন্য।

বার্তা প্রেরক
রাজীব আহমেদ
সমন্বয়ক, (প্রোগ্রাম) কর্মজীবী নারী
যোগাযোগ: 01726291664 | PDF

KarmojibiNari: 159/A, Regent parbata Grand, Shusona, Apartment -102 & 104, Senpara, Parbata, Mirpur, Dhaka.

জাতীয় ও স্থানীয় শ্রমিক নেতৃবৃন্দের সাথে রপ্তানীমুখী শিল্পের কর্মহীন ও দুঃস্থ শ্রমিকদের জন্য সামাজিক সহায়তা কার্যক্রম বিষয়ক কর্মশালা

বরাবর,
বার্তা সম্পাদক/প্রধান প্রতিবেদক/ এসাইনমেন্ট অফিসার
কর্মজীবী নারীর পক্ষ থেকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানবেন!

কর্মজীবী নারী আগামী  এপ্রিল ২০২৪ রোজ মঙ্গলবারসকাল (১০.৩০ টা থেকে দুপুর ১ টা) বিসিসিপি, বাডি নং: ০৮রোড০৩বোকসেকশন১১মিরপুরঢাকা ১২১৬ জাতীয় ও স্থানীয় শ্রমিক নেতৃবৃন্দের সাথে রপ্তানীমুখী শিল্পের কর্মহীন  দুঃস্থ শ্রমিকদের জন্য সামাজিক সহায়তা কার্যক্রম বিষয়ক কর্মশালার আয়োজন করেছে। উক্ত কর্মশালায় সভাপতিত্ব করবেন কর্মজীবী নারীর সহ-সভাপতি উম্মে হাসান ঝলমল।

উপস্থিত থাকবেন এবং বক্তব্য প্রদান করবেন স্কপ এর কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি।

অনুগ্রহপূর্বক উক্ত আয়োজনে আপনার বহুল প্রচারিত জাতীয় দৈনিক / দর্শক নন্দিত টেলিভিশন চ্যানেল / বার্তা সংস্থার পক্ষ থেকে একজন প্রতিবেদক ও একজন চিত্র সাংবাদিক / ক্যামেরা ক্রু পাঠানোর অনুরোধ করছি।

বার্তা প্রেরক
রাজীব আহমেদ
সমন্বয়ক, (প্রোগ্রাম) কর্মজীবী নারী | PDF
যোগাযোগ: 01726291664

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার মৃত্যুর ঘটনায় কর্মজীবী নারী’র ক্ষোভ প্রকাশ

কর্মজীবী নারীর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি শিরীন আখতার, সভাপতি দিলনাশিঁ মহসেন, সহসভাপতি উম্মে হাসান ঝলমল ও শাহীন আক্তার পারভীন, সাধারণ সম্পাদক শারমিন কবীর, নির্বাহী পরিচালক রোকেয়ারফিক এবং অতিরিক্ত নির্বাহী পরিচালক সানজিদাসুলতানা জগন্নাথবিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার মৃত্যুর ঘটনাকে একটি দুঃখজনক হত্যাকাণ্ড উল্লেখ করে একটি বিবৃতি প্রকাশ করে।

নেতৃবৃন্দ এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এই ঘটনা অবন্তিকাকে কতটা মানসিক চাপে ফেলেছে এটা সহজেই অনুমান করা যায়, যদি শুরু থেকেই কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করত তাহলে আজকে তাকে এভাবে হারিয়ে যেতে হতো না।  নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, অবন্তিকার এই ঘটনার পর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে আরও একজন শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেকজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ আনলেন । তাঁর বক্তব্য ছিল আরও ভয়াবহ। নেতৃবৃন্দ বলেন, মেয়েটির প্রতি সুবিচার করা দূরে থাক এই মেয়েটি প্রতিবাদ করার কারণে এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। নেতৃবৃন্দ  জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে একেরপর এক যৌন হয়রানির ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করছেন।

নেতৃবৃন্দ বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানি প্রতিরোধে মহামান্য হাইকোর্ট কর্তৃক নির্দেশনা ২০০৯ অনুযায়ী, সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বাধ্যতামূলকভাবে একটি কার্যকর যৌন হয়রানি প্রতিরোধ কমিটি থাকবে। অবন্তিকা ও কাজী ফারজানা মিমের  ঘটনা উল্লেখিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানি প্রতিরোধ কমিটির কার্যকারিতাকেই প্রশ্নবিদ্ধ করছে।

নেতৃবৃন্দ মহামান্য হাইকোর্ট এর নির্দেশনার আলোকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের তদন্ত সাপেক্ষে দ্রুত বিচারের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানান। একই সাথে এই ঘটনাগুলি কখন, কোথায়, কিভাবে ঘটছে এসব বিষয়ে তদন্ত করার দাবি জানান। পাশাপাশি তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ে নারী শিক্ষার্থীদের জন্য যৌন হয়রানি ও নিপীড়নমুক্ত শিক্ষার পরিবেশ গড়ে তুলতে মহামান্য হাইকোর্ট কর্তৃক নির্দেশনা অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট সকল প্রতিষ্ঠানকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানান যাতে আর কোন অবন্তিকাকে হারিয়ে যেতে না হয়। একইসাথে নেতৃবৃন্দ অবন্তিকাসহ সকল ঘটনার বিচারের দাবিতে এবং নারী শিক্ষার্থীর প্রতি সকল ধরনের হয়রানিনির্যাতন বন্ধে নারী ও মানবাধিকার আন্দোলনের সকল সংগঠনকে ঐক্যবদ্ধভাবে  সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান।

বার্তা প্রেরক

হাছিনা আক্তার, সমন্বয়ক (মানবসম্পদ ও প্রশাসন), কর্মজীবী নারী
যোগাযোগ নাম্বার: 01712-479501

প্রেস বিজ্ঞপ্তি: “নারীর গৃহস্থালি ও সেবা/ যত্নমূলক কাজের চাপ কমানো এবং কর্মে নিয়োজিত থাকার জন্য পরিবার, সমাজ, নিয়োগকারী ও সরকারকে ভূমিকা রাখতে হবে” ।

প্রেস বিজ্ঞপ্তি: “নারীর গৃহস্থালি ও সেবা/ যত্নমূলক কাজের চাপ কমানো এবং কর্মে নিয়োজিত থাকার জন্য পরিবার, সমাজ, নিয়োগকারী ও সরকারকে ভূমিকা রাখতে হবে” ।

-মেহের আফরোজ চুমকি
মাননীয় সংসদ সদস্য—৩৩৩,
বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ,
প্রাক্তন প্রতিমন্ত্রী, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়,
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার।

‘কর্মজীবী নারী’আন্তর্জাতিক নারী দিবস, ২০২৪—এর “নারীর সমঅধিকার, সমসুযোগএগিয়ে নিতে হোক বিনিয়োগএই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে “পোশাক শিল্পের নারীশ্রমিকের অবৈতনিক গৃহস্থালি ও যত্ন/ সেবামূলক কাজ: নিয়োগকর্তা এবং শ্রমিকদের দৃষ্টিভঙ্গি বিষয়ক গবেষণার উপর আজ ১৩ মার্চ ২০২৪ বুধবার সকাল ১০:৩০ — দুপুর ০১.০০ টা পর্যন্ত সিরডাপ ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স সেন্টার (সিআইসিসি) মিলনায়তন, চামেলি হাউস, ১৭ তোপখানা রোড, ঢাকা ১০০০ একটি সেমিনার আয়োজন করেছে। সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মেহের আফরোজ চুমকি, মাননীয় সংসদ সদস্য—৩৩৩, বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ, প্রাক্তন প্রতিমন্ত্রী, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। সভাপতিত্ব করেছেন কর্মজীবী নারী’র প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি শিরীন আখতার, সাবেক সংসদ সদস্য (ফেনী—১)। সেমিনারটি সঞ্চালনা করেছেন সানজিদা সুলতানা, অতিরিক্ত নির্বাহী পরিচালক, কর্মজীবী নারী।

কর্মজীবী নারী’র ‘অক্সফ্যাম ইন বাংলাদেশ এর সহযোগিতায় “Unpaid care work: perspective of employers and workers in RMG sector” শিরোনামে একটি গবেষণা পরিচালনা করে। এই গবেষণার উদ্দেশ্য ছিল পোশাক শিল্পের নারী ও পুরুষ শ্রমিকদের অবৈতনিক গৃহস্থালি ও যত্ন/ সেবামূলক কাজের পরিস্থিতি বিশ্লেষণসহ নারী’র অবৈতনিক সেবামূলক কার্যক্রমের একটি চিত্র তুলে আনা। পাশাপাশি এ বিষয়ে কারখানা ব্যবস্থাপকের দৃষ্টিভঙ্গি ও এর ফলে কারখানায় নারীশ্রমিকদের বাধাসমূহ দূরীকরণে কী ধরনের সহায়ক ব্যবস্থা রয়েছে সেগুলো সামনে নিয়ে আসা। আমরা মনে করি, নীতি—নির্ধারণী পর্যায়ে তৈরি পোশাক শিল্পের নারীশ্রমিকের ক্রমহ্রাসমান পরিস্থিতি উন্নয়নে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে হলে এই গবেষণাটি গুরুত্বপূণূ ভূমিকা পালন করবে। তাছাড়া তৈরি পোশাক খাতের নারীশ্রমিকদের বাধাসমূহ দূরীকরণে সরকার এবং নিয়োগদাতা থেকে শুরু করে সমাজের প্রতিটি স্তরে আলোচনা করাসহ এ বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়াও প্রয়োজন।

সেমিনারের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন কর্মজীবী নারী’র সহসভাপতি উম্মে হাসান ঝলমল। গবেষণাপত্রটি উপস্থাপন করেন জাকিয়া হক, ম্যানেজিং ডিরেক্টর, ক্রিয়েটিভ পাথওয়ে বাংলাদেশ। গবেষণায় দেখা গেছে, পোশাক শিল্পে কর্মরত শ্রমিকদের মধ্যে ৭৯ শতাংশ নারী পারিবারিক দায়িত্ব সামলাতে গিয়ে চাকরি থেকে ঝরে পড়ছে। বর্তমানে পোশাক শিল্পের সাথে যুক্ত নারীশ্রমিকদের ৭১ শতাংশকে নিজের সন্তান দেখাশোনা করার দায়িত্ব নিজেকেই পালন করতে হয়। ফলে একইসাথে চাকুরি এবং সন্তান লালন পালন করতে গিয়ে তারা অনেকেই দুটোর মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করতে পারছেন না। ৩৬ শতাংশ নারী শ্রমিক এ দুটোর মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করতে গিয়ে প্রচন্ড কাজের চাপবোধ করেন। ৪১ শতাংশ নারী শ্রমিক নিজের কোন সময়ই পান না।

মেহের আফরোজ চুমকি, মাননীয় সংসদ সদস্য—৩৩৩, বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ, প্রাক্তন প্রতিমন্ত্রী, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার বলেন, সকল কর্মক্ষেত্রে ব্রেস্টফিডিং কর্নার স্থাপন করা বাধ্যতামূলক করা দরকার। এইসব সেমিনার আয়োজনের মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে মন্ত্রণালয়ে তুলে ধরতে হবে।

আয়শা সিদ্দিকী, উপপরিচালক (পরিকল্পনা ও মূল্যায়ন), মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর জানান, সরকার ইতোমধ্যে বিভিন্ন শিল্প এলাকায় ৬০ টি ডে কেয়ার চালু করার প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এছাড়া তিনি মনে করেন নারী শ্রমিকদেরকে স্যানিটারি ন্যাপকিনের সুবিধা দেওয়ার জন্য সরকার এবং কারখানার মালিককে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। দক্ষ শ্রমিকদের কোনভাবেই ঝরে পড়তে দেওয়া যাবে না বলে তিনি দাবি করেন।

মোছাঃ জুলিয়া জেসমিন, যুগ্ম মহাপরিদর্শক (স্বাস্থ্য অধিশাখা) কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় মনে করেন, ডে কেয়ার ইস্যুতে আলাদা করে কারখানা ভিজিট করা প্রয়োজন। শুধু তাই নয়, ফ্যাক্টরির সাইজ অনুযায়ী কতগুলো ডে কেয়ার থাকা দরকার এবং এলাকাভিত্তিক ডে কেয়ার স্থাপন করা যায় কিনা এ ব্যাপারেও আলোচনা করা প্রয়োজন বলে তিনি মনে করেন। তিনি বলেন, প্রতিদিন ৪ ঘন্টা ওভারটাইম করার কারণে শ্রমিকদের কাজের স্পৃহা কমে যায়। ৬ বছরের অধিক বয়সী বাচ্চাদেরও যেন ডে কেয়ারে রাখা যায় সে ব্যাপারেও কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।

জাতীয় শ্রমিক নেতা, সাবেক সংসদ সদস্য বলেন, শাহ মো: আবু জাফর, সভাপতি বলেন, শ্রমিক কল্যাণের জন্য সবার আগে কারখানার মালিকদেরকেই এগিয়ে আসতে হবে। নারীর অগ্রযাত্রায় এ ধরনের সেমিনার আরও বেশি করা প্রয়োজন। আমি মনে করি নারীর অগ্রযাত্রায় আজকের এই সেমিনার মাইলফলক হয়ে থাকবে।

রাইজিং গ্রুপের এসিসট্যান্ট জেনারেল ম্যানেজার, এডমিন এন্ড কম্প্লায়েন্স, মইনুল ইসলাম বলেন, কারখানার ডে কেয়ারে ৬ বছর বয়স পর্যন্ত বাচ্চা রাখা যায়। কিন্তু এর পরে বাচ্চাদের নিরাপত্তা ইস্যুতে অনেক নারীকে চাকরি ছেড়ে চলে যেতে হয়। তাই আমি মনে করি ৬-১৪ বছর বয়সী বাচ্চাদের জন্য নিরাপদ দিবাযত্ন কেন্দ্র প্রয়োজন।

ফাতেমা তুজ জোহরা, প্রাইভেট সেক্টর পার্টনারশিপ ব্রোকার, অক্সফ্যাম ইন গ্রেট ব্রিটেন,”আমি নারী, আমি সব পারি” এই ধারণা আমাদের পুরোপুরি ভেঙে ফেলতে হবে। কেননা একজন নারী যখন সবকিছু পারতে যায় এবং করতে যায় তখনই তাকে শ্রম শোষণের শিকার হতে হয়। তাই ঘরে বাইরে নারীর কাজের চাপ কমানোর জন্য সরকারের পাশাপাশি নিয়োগকর্তাদেরও দায়িত্ব পালন করতে হবে। যেখানে নারীদের সুবিধা দেওয়া হয় সেখানে নারীদের ঝরে পড়ার হার কম। তাই নারীর জন্য এই সুবিধার বিষয়গুলো পলিসিতেও অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।

নারীশ্রমিক ইয়াসমিন বলেন, বেতন বাড়র সাথে সাথে প্রোডাকশনের চাপ বেড়েছে। আমি চাই আমার কাজের চাপ কম হোক এবং কারখানায় ডে কেয়ার থাকুক যেন আমি আমার সন্তানদের ন্যূনতম দেখাশোনা করতে পারি।

নারীশ্রমিক রুবি বলেন, খুব ছোট বেলায় কারখানায় কাজ শুরু করেছি। কিন্তু এখন বয়স বৃদ্ধির অজুহাতে আমরা চাকরি হারিয়েছি। যখন দক্ষ হয়ে উঠছি তখনই আমরা চাকরি থেকে ছাঁটাই হয়ে যাচ্ছি। আমরা যারা বয়স বেশির কারণে কারখানা থেকে চাকরি হারাচ্ছি তাদের জন্য আপনারা কিছু করেন।

কর্মজীবী নারী’র প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি শিরীন আখতার, সাবেক সংসদ সদস্য (ফেনী—১) বলেন, সকল নারীই কর্মজীবী নারী শ্লোগানে কর্মজীবী নারী প্রতিষ্ঠিত হয় যেখানে আমাদের লক্ষ্য ছিল নারীর অধিকার ও কাজের যথাযথ মূল্যায়ন করা। পোশাক শিল্প থেকে নারী শ্রমিক ঝরে যাচ্ছে তবে বর্তমানে নারীদের কাজের পরিধিও বেড়েছে। ফলে কোন কাজটা নারীর করতে ভালো লাগবে সেটা ভাবার সুযোগ পাচ্ছে নারীরা। সুতরাং পোশাক শিল্প ছেড়ে নারীরা কোন কাজের সাথে যুক্ত হচ্ছে সেটা নিয়েও গবেষণা করতে হবে। নারীরা সব পারবে না, নারীর সাথে সাথে পুরুষকেও পারতে হবে। ঘরের কাজের চাপ কমানোর জন্য ঘরের পুরুষকেও দায়িত্ব নিতে হবে। একইসাথে সরকার এবং নিয়োগকর্তাকেও এগিয়ে আসতে হবে। নারীর জন্য বিনিয়োগ করলেই সমাজে নারীর সমঅধিকার ও সমসুযোগ নিশ্চিত হবে।

সেমিনারে মোস্তফা মাহমুদ সারোয়ার, উপপরিচালক (প্রশাসন), সমাজসেবা অধিদপ্তর, রোখসানা চৌধুরী, উপপরিচালক (মেডিকেল ও শ্রমকল্যাণ), শ্রম অধিদপ্তর, জিআইজেড, এফইএস, ফেয়ারওয়্যার ফাউন্ডেশন, ইটিআই এর প্রতিনিধিবৃন্দ, ট্রেড ইউনিয়ন এবং নারীশ্রমিক কন্ঠের নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন উন্নয়ন সংগঠনে প্রতিনিধি ও সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন।

সব শেষে সেমিনারের সভাপতি কর্মজীবী নারী’র প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি শিরীন আখতার, সাবেক সংসদ সদস্য (ফেনী—১) সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে সেমিনারের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।

গবেষণার ফলাফলের ভিত্তিতে প্রাপ্ত সুপারিশসমূহ

  • শিশুকাল থেকেই জেন্ডার এবং কাজের সমবন্টনের বিষয়ে শিশুদের জানাতে হবে
  • কারখানায় সকলসুবিধাসহ কার্কর যে কেয়ার স্থাপন করা
  • এলাকাভিত্তিক চাইল্ড কেয়ার স্থাপন করতে হবে
  • নারীর অবৈতনিক কাজের চাপ কমাতে সরকার ও নিয়োগকর্তার পাশাপাশি ট্রেড ইউনিয়নকে ভূমিকা পালন করতে হবে
  • নারী শ্রমিকদের জন্য সময় ব্যবস্থাপনা, দরকষাকষি, পারিবারিক জীবন ও কাজের মধ্যে ভারসাম্য ও যত্নমূলক কাজের বিষয়ে জীবন দক্ষতা প্রশিক্ষণ প্রদান করা
  • বিদ্যমান আইনের বাস্তবায়ন করা
  • সচেতনতামূলক যৌথ কর্মসূচি আয়োজন করা

 

 

 

Pin It on Pinterest