Work and Working Condition of Women Employed in Ready-Made Garment Industry of Bangladesh

Introduction | PDF File

Background: Bangladesh’s ready-made garment (RMG) industry has been playing a significant role in economy by earning lion’s share of export income (81.23 %) and creating jobs for millions of people. RMG directly employs 4.2 million people (EC 2016)– of whom majority is women. Women RMG workers are plagued with various problems (e.g insufficient wage, irregularity in timeliness of wage payments, unsafe working conditions). PDF: Click for details

প্রখ্যাত সঙ্গীতশিল্পী ফকির আলমগীর এবং সাবেক মন্ত্রী ও বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ জাহানারা বেগমের প্রয়াণে কর্মজীবী নারী’র শোক ও শ্রদ্ধা জানিয়ে বিবৃতি:

প্রেস বিজ্ঞপ্তি:
তারিখ: ২৫ জুলাই, ২০২১

প্রখ্যাত সঙ্গীতশিল্পী ফকির আলমগীর এবং সাবেক মন্ত্রী ও বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ জাহানারা বেগমের প্রয়াণে কর্মজীবী নারী’র শোক ও শ্রদ্ধা জানিয়ে বিবৃতি:

কর্মজীবী নারী’র সভাপতি ড. প্রতিমা পাল মজুমদার, সহ-সভাপতি উম্মে হাসান ঝলমল, সাধারণ সম্পাদিকা শারমিন কবীর এবং ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী পরিচালক সানজিদা সুলতানাসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ এক বিবৃতিতে শোক প্রকাশ করে বলেন, গণসঙ্গীত শিল্পী ফকির আলমগীর ও বিশিষ্ট রাজীনিতিবিদ জাহানারা বেগম দেশের কৃতী সন্তান ছিলেন। তাঁদের প্রয়ানে জাতি দ্জুন গুণী মানুষকে হারাল। জাহানারা বেগম তাঁর রাজনীতির মধ্য দিয়ে দেশের মানুষের বিশেষ করে শ্রমজীবী মানুষের কল্যাণের জন্য কাজ করেছেন, তাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন এবং নারীর মুক্তির জন্য সংগ্রাম করেছেন। একইভাবে ফকির আলমগীর গণমানুষের শিল্পী ছিলেন। তিনি তার সঙ্গীত দিয়ে মানুষকে মুক্তির সংগ্রামে উদ্বুদ্ধ করেছেন। তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। এই দুজন গুণী মানুষের শূণ্যতা পূরণ হবার নয়। জাতি তাঁদের শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবে। নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, তাঁরা দুজনই কর্মজীবী নারী’র ঘনিষ্ঠজন ছিলেন। নেতৃবৃন্দ তাঁদের মৃত্যুতে শোক-সন্তপ্ত পরিবার-স্বজনদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
বার্তা প্রেরক
দেওয়ান আব্দুস সাফি
সমন্বয়ক, কর্মজীবী নারী।
০১৭১৪ ৫৩৪৩৪৩

নারায়াণগঞ্জের রূপগঞ্জে হাসেম ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেডের কারখানায় অগ্নিকান্ডে অর্ধ শতাধিক শ্রমিক নিহতের ঘটনায় কর্মজীবী নারী’র তীব্র নিন্দা ও শোক প্রকাশ এবং কারখানা মালিকের বিচারসহ দাবি

প্রেস বিজ্ঞপ্তি
তারিখ: ১০/০৭/২০২১

গত ০৮ জুলাই, ২০২১ বৃহষ্পতিবার নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার কর্ণগোপ এলাকায় হাসেম ফুড অ্যান্ড বেভারেজে লিমিটেডের কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে অর্ধশতাধিক শ্রমিক নিহত ও আরো প্রায় ৩০ জনের মতো শ্রমিক আহতের ঘটনা ঘটে। হতাহত শ্রমিকদের বেশীরভাগই নারী ও শিশু/কিশোর। ভয়াবহ এ ঘটনায় শ্রমিক হতাহতের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে কর্মজীবী নারী। একই সঙ্গে হতাহতের পরিবারের প্রতি সমবেদনা ও শোক প্রকাশ করেছে। এক বিবৃতিতে কর্মজীবী নারী’র সভাপতি ড. প্রতিমা পাল মজুমদার, সাধারণ সম্পাদক শারমিন কবীর, সহ-সভাপতি উম্মে হাসান ঝলমলসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ বলেন, কারখানায় পর্যাপ্ত অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থা না রাখা, অগ্নিকান্ডের সময় দরজা বন্ধ রেখে ও উদ্ধারকারীদের প্রবেশে বাধা দিয়ে কারখানা কর্তৃপক্ষ এই শ্রমিকদের হত্যা করেছে। এমনকি কারখানাটিতে শ্রম আইন ভঙ্গ করে শিশু শ্রমিকদের দিয়ে কাজ করানোর তথ্যও মিডিয়ায় প্রচারিত হচ্ছে। নেতৃবৃন্দ বলেন, রানা প্লাজা, তাজরীন গার্মেন্টস, টেম্পাকোসহ একের পর এক কারখানা দূর্ঘটনায় হাজার হাজার শ্রমিকের প্রাণহানি হয়েছে। কিন্তু আজ পর্যন্ত কোনো ঘটনারই সুষ্ঠ বিচার হয়নি। কোনো দৃষ্টান্তমূলক বিচার না হওয়ার কারণেই দেশের শিল্প মালিকরা শ্রমিকদের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে বলে তারা মনে করেন।

কর্মজীবী নারী’র নেতৃবৃন্দ শ্রম আইন ভঙ্গ করে শিশু শ্রমিক নিয়োগ, কারখানায় পর্যাপ্ত অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থার অভাব, দাহ্য পদার্থ সংরক্ষণে অবহেলা, অপ্রতুল নিরাপত্তা ও বহির্গমন ব্যবস্থা বজায় রেখে শ্রমিকদের জীবন হুমকির মুখে ঠেলে দেয়াকে মালিকের অপরাধ বলে মনে করেন। তারা বলেন, শ্রমিকের জীবনের নিরাপত্তা প্রদান ও শ্রম আইন বাস্তাবায়নের দায়িত্ব শ্রম মন্ত্রণালয়ের। একই সঙ্গে কারখানায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত রাখা হচ্ছে কিনা তা দেখার দায়িত্ব কল-কারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের। কিন্তু ভয়াবহ এই অগ্নিকান্ড ও শ্রমিক হত্যার ঘটনায় প্রতীয়মান হয় দায়িত্বপ্রাপ্তরা তাদের দায়িত্বপালনে ব্যর্থ হয়েছেন। সরকার এই হতাহতের দায় এড়াতে পারে না এবং তাই সংশ্লিষ্ট সকলকে জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে বলে দাবি করেছে কর্মজীবী নারী। একই সঙ্গে পুলিশ, শিল্প পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের ভূমিকাও খতিয়ে দেখার আহ্বান জানিয়েছেন নেতৃবৃন্দ।

সংগঠনের নেতৃবৃন্দ হাসেম ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেডের কারখানায় নিহত শ্রমিকদের সনাক্তকরণ ও প্রকৃত সংখ্যা নিশ্চিতকরণ, নিহত ও নিখোঁজ শ্রমিকদের আইএলও কনভেনশন ১২১ অনুযায়ী ক্ষতিপূরণ প্রদান, আহত শ্রমিকদের তাৎক্ষণিক আর্থিক সহায়তা এবং বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা প্রদান এবং শিশু শ্রম বন্ধসহ এ ধরণের ঘটনা বন্ধে ও শ্রমিকদের জন্য সুষ্ঠু ও নিরাপদ কাজের পরিবেশ নিশ্চিত করতে সরকারের কাছে হাসেম ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেডের মালিকের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন নেতৃবৃন্দ।

বার্তা প্রেরক
ইসরাত জাহান পপি

সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে অবরুদ্ধ রেখে লাঞ্জিত ও মিথ্যা মামলা

প্রেস বিজ্ঞপ্তি
তারিখ: ১৮/০৫/২০২১

পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে অনুসন্ধানী সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে অবরুদ্ধ রেখে লাঞ্জিত করা ও মিথ্যা মামলা দায়ের করায় কর্মজীবী নারীর তীব্র নিন্দা এবং তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি | PDF

গত ১৭ মে, ২০২১ সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণলয়ে জাতীয় দৈনিক প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে অবরুদ্ধ রেখে শারীরিক ও মানসিকভাবে লাঞ্ছিত করার ঘটনা ঘটে। এতে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে নেয়ার কথা বলে শাহবাগ থানায় প্রেরণ এবং তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়। এদিকে রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করেছে পুলিশ ও আদালত তার জামিন না মঞ্জুর করেছেন। এক বিবৃতিতে এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন কর্মজীবী নারী’র সভাপতি ড. প্রতিমা পাল মজুমদার, সাধারণ সম্পাদক শারমিন কবীর, সহ-সভাপতি উম্মে হাসান ঝলমলসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ। বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, এ ধরণের ঘটনা গণমাধ্যমের স্বাধীনতার পরিপন্থী ও অগ্রহণযোগ্য এবং শ্রমিক ও জনগণের অধিকার ক্ষুন্ন করছে।
নেতৃবৃন্দ আরো আশঙ্কা করেন যে, স্বাস্থ্য খাতের দূর্নীতি আড়াল করতে সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে এ ধরণের পরিস্থিতির শীকার হতে হয়েছে। যা জনগণের স্বার্থ পরিপন্থী। নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, এক জন সাংবাদিক তার পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে এই হয়রানির শিকার হওয়ায় শ্রমিক হিসেবে তার অধিকার ক্ষুন্ন হয়েছে। নেতৃবৃন্দ মনে করেন, সুশাসন, জবাবদিহিতা ও জনগণের মানবাধিকার রক্ষায় স্বাধীন এবং অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা আবশ্যক। যে কোনো তথ্য জানার অধিকার রয়েছে জনগণের। এ অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করে চলেছেন দেশের সাংবাদিকরা। কিন্তু রোজিনা ইসলামের সাথে ঘটা এ ঘটনা যেমন অগ্রহণযোগ্য তেমনি অনুসন্ধানী ও বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে ওপর বড় আঘাত।
এ পরিস্থিতিতে কর্মজীবী নারী’র নেতৃবৃন্দ রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে আনীত সকল মিথ্যা মামলা অপসারণ, রিমান্ডের আবেদন নাকচ ও দ্রুত জামিনের দাবি জানিয়েছেন। পাশাপাশি সাংবাদিক লাঞ্ছনার ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে তদন্তসাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি করেছেন। একইসাথে স্বাস্থ্য খাতের দূর্নীতি রোধে জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার জন্য সরকারের নিকট দাবি জানান নেতৃবৃন্দ।

বার্তা প্রেরক