Mar 13, 2022 | Newspaper Clip
জাসদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ও ফেনী-১ আসনের সাংসদ শিরীন আখতার বলেছেন, নিত্যপণ্য সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বাইরে চলে গেছে। বাজার সিন্ডিকেটের মাধ্যমে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ানো হচ্ছে। সরকারি কর্তা-ব্যক্তিদের দায়িত্বজ্ঞানহীন উক্তিতে দুর্নীতির সিন্ডিকেট চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে।
অবিলম্বে নিত্যপণ্যের দাম কমিয়ে মানুষকে স্বস্তির নিশ্বাস ফালাতে সহায়তা করতে সরকারকে আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
রবিবার বিকেলে ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে নারী ও নারীশ্রমিক শান্তি সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও আন্তর্জাতিক নারী দিবস-২০২২ উদ্যাপনে নারীর অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে, সাম্প্রদায়িকতা, সন্ত্রাস, ধর্ষণ, নারী নির্যাতন, বাল্যবিবাহ, মাদক রুখতে ও টেকসই আগামীর পথে এগিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে নারী ও নারীশ্রমিক শান্তি এই সমাবেশের আয়োজন করে।
সমাবেশে অতিথি ছিলেন ফেনীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাদিয়া ফারজানা, ছাগলনাইয়া উপজেলা চেয়ারম্যান মেসবাউল হায়দার চৌধুরী সোহেল, ছাগলনাইয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাজিয়া তাহের, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান বিবি জুলেখা শিল্পী প্রমুখ।
বক্তব্য রাখেন কর্মজীবী নারী সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী পরিচালক সানজিদা সুলতানা, কর্মজীবী নারী সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক শারমিন কবির, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নিজাম উদ্দিন মজুমদার, উপজেলা জাসদ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাই প্রমুখ।
জাসদ পরশুরাম শাখার নারী বিষয়ক সম্পাদক ও কর্মজীবী নারী সমন্বয়ক রোশনা আক্তার রুমির সঞ্চালনায় আলোচনা সভা শেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গান, নাচ, আবৃত্তি পরিবেশন করা হয়।
News Link: deshrupantor.com
Mar 13, 2022 | Newspaper Clip
সরকারের শরিক জাসদের একটি অংশের সাধারণ সম্পাদক বলেন, “সিন্ডিকেটের মাধ্যমে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ানো হয়েছে। সরকারি কর্তা-ব্যক্তিদের দায়িত্বজ্ঞানহীন উক্তিতে দুর্নীতি চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে।”
রোববার বিকালে ছাগলনাইয়া উপজেলায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নারী ও নারীশ্রমিক শান্তি সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে ফেনী-১ আসনের সংসদ সদস্য এসব কথা বলেন।
তিনি অবিলম্বে নিত্যপণ্যের দাম কমাতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
শিরীন আখতার বলেন, “গণতন্ত্রের বাগান থেকে রাজাকারদের এবং অর্থনীতির ঘর থেকে দুর্নীতিবাজদের বিতারিত করলে দেশে রাজনৈতিক শান্তি আসবে। নির্বাচনের কথা বাদ দিয়ে সরকার উৎখাতের প্রস্তাব যারা দেয়, তারা ছদ্মবেশে চক্রান্তের সরকার ক্ষমতায় আনার পাঁয়তারা করছে।”
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে নারীর অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে; সাম্প্রদায়িকতা, সন্ত্রাস, ধর্ষণ, নারী নির্যাতন, বাল্যবিবাহ, মাদক রুখতে এবং টেকসই আগামীর পথে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয়ে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে ফেনীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাদিয়া ফারজানা, ছাগলনাইয়া উপজেলা চেয়ারম্যান মেসবাউল হায়দার চৌধুরী সোহেল, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাজিয়া তাহের, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান বিবি জুলেখা শিল্পী অংশ নেন।
জাসদ পরশুরাম শাখার নারী বিষয়ক সম্পাদক ও কর্মজীবী নারী সমন্বয়ক রোশনা আক্তার রুমির সঞ্চালনায় আলোচনা সভা শেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়।
News Link: bangla.bdnews24
Mar 13, 2022 | Newspaper Clip
ফেনীতে ৫ হাজার নারীকে নিয়ে নারী ও নারী শ্রমিক শান্তি সমাবশে করেছে ‘কর্মজীবী নারী’। রোববার (১৩ মার্চ) বিকেলে ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলার কেন্দ্রেীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে নারী ও নারী শ্রমিক শান্তি সমাবেশে সভাপতিত্বে করেন জাসদ (ইনু) সাধারণ সম্পাদক, কর্মজীবী নারী সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও ফেনী-১ আসনের সংসদ সদস্য শিরীন আখতার।
স্বাধীনতার সুর্বণ জয়ন্তী ও আর্ন্তজাতিক নারী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত নারী ও নারী শ্রমিক শান্তি সমাবেশে অতিথি ছিলেন ফেনীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাদিয়া ফারজানা, ছাগলনাইয়া উপজেলা চেয়ারম্যান মেসবাউল হায়দার চৌধুরী সোহেল, ছাগলনাইয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাজিয়া তাহের, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান বিবি জুলেখা শিল্পী।
বক্তব্য রাখনে কর্মজীবী নারী সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী পরিচালক সানজিদা সুলতানা, কর্মজীবী নারী সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক শারমিন কবির, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নিজাম উদ্দিন মজুমদার, উপজেলা জাসদ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাই প্রমুখ।

জাসদ পরশুরাম শাখার নারী বিষয়ক সম্পাদক ও কর্মজীবী নারী সমন্বয়ক রোশনা আক্তার রুমির সঞ্চালনায় আলোচনা সভা শেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতকি অনুষ্ঠানে গান, নাচ, আবৃত্তি পরিবেশন করনে শিল্পীবৃন্দ।
শিরীন আখতার এমপি বলনে, ‘সংকট একটা আমাদের আছে সামনে। সেই সংকট, দেশ উন্নয়নের দিকে যাচ্ছে, কিন্ত আমার নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম হু হু করে উন্নয়নের মতই বেড়ে যাচ্ছে। এটাতো এ দেশে হওয়ার কথা ছিল না। এমন কথা মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশে আমরা চাই না।’
তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনা যে উন্নয়নের কাজ করছেন, সেখানে চাল, ডাল তেলের দাম বাড়ার কথা নয়। যারা দাম বাড়ায় তারা নারীদের শত্রু। নিত্যপণ্য সাধারণ মানুয়ের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। বাজার সিন্ডিকেটের মাধ্যমে দাম বাড়ানো হয়েছে নিত্যপণ্যের। সরকারি কর্তাব্যক্তিদের দায়িত্বজ্ঞানহীন উক্তিতে দুর্নীতির সিন্ডিকেট চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। অবিলম্বে নিত্যপণ্যের দাম কমিয়ে মানুষকে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলাতে সহায়তা করতে সরকারকে আহ্বান জানিয়েছেন।
News Link: channel24bd.tv
Dec 26, 2021 | Press Release
প্রেস বিজ্ঞপ্তি
তারিখ: ২৭/১২/২০২১ |PDF
নারী অধিকার প্রতিষ্ঠায় কর্মরত সংগঠনের সঙ্গে ‘নারী অভিবাসী শ্রমিকদের অধিকার ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় জাতীয় পর্যায়ের মতবিনিময় সভা’
“অভিবাসী নারীশ্রমিকের মর্যাদা ও অধিকার প্রতিষ্ঠায় সমন্বিত পদক্ষেপ জরুরি”
কর্মজীবী নারী এবং সবুজের অভিযান ফাউন্ডেশন এর যৌথ উদ্যোগে এবং এপিডব্লিউএলডি এর সহযোগীতায় আজ ২৭ ডিসেম্বর ২০২১ তারিখ সোমবার সকাল ১১টায়, ঢাকাস্থ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের সেমিনার হলে নারী অধিকার প্রতিষ্ঠায় কর্মরত সংগঠনের সঙ্গে নারী অভিবাসী শ্রমিকদের অধিকার ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় করণীয় বিষয়ক জাতীয় পর্যায়ের মতবিনিময় সভার আয়োজন করে।
সবুজের অভিযান ফাউন্ডেশন এর নির্বাহী পরিচালক মাহমুদা বেগমের সভাপতিত্বে এবং কর্মজীবী নারীর ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী পরিচালক সানজিদা সুলতানার সঞ্চালনায় অভিবাসী নারীশ্রমিকদের অধিকার ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় বর্তমান অবস্থা বিশ্লেষণ, সমস্যা চিহ্নিতকরণ ও সমাধানের পথ শীর্ষক একটি মাল্টিমিডিয়া উপস্থাপনা সকলের উদ্দেশ্যে তুলে ধরা হয়। তিন জন নারী অভিবাসী শ্রমিক হিসেবে তাদের বাস্তব জীবনের অভিজ্ঞতার কথা বলেন। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ফরিদা ইয়াসমিন, পরিচালক, বাংলাদেশী অভিবাসী মহিলা শ্রমিক এ্যাসোসিয়েশন (বোমসা); রীনা রায়, নির্বাহী কমিটির সদস্য, নারীপক্ষ এবং মমতাজ আরা বেগম, নির্বাহী পরিচালক, মুক্তি নারী ও শিশু উন্নয়ন সংস্থা। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন নারী ও নারী অধিকার বিষয়ক ১৫টি সংগঠন ও অভিবাসী শ্রমিক হিসেবে অভিজ্ঞতা প্রাপ্ত নারীশ্রমিকগণ।
মত বিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে মাহমুদা বেগম বলেন, একত্রিত হয়ে কাজ করার কোন বিকল্প নেই। আজকের আলোচনা এই জন্য যেন কোন নারীকে আর লাশ হয়ে ফিরে আসতে না হয়, যেন আর কোন নারী নিযাতিত না হয়, যেন আর কোন শিশুকে পাচার হতে না হয়। দালালরা জানে যে কারা দুর্বল, তাদেরকে ধরার চেষ্টা করে এবং সারা পৃথিবীতে তাদের নেটওয়ার্ক ছড়িয়ে পড়েছে। এই পরিস্থিতিতে নারী ও নারী অধিকার নিয়ে কাজ করে যেসব সংগঠন তাদের একত্রিত হয়ে কাজ করা জরুরি হয়ে পড়েছে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, কোভিডের কারণে এক লক্ষ নারীশ্রমিক দেশে ফিরে এসেছেন। এ সময় তারা সবচেয়ে বেশি ‘ওয়েজ থেফট’ এর শিকার হয়েছে। আমাদের দেশের নারীদের টাকা ছাড়া বিদেশ যাওয়ার কথা থাকলেও ৫৮ শতাংশ নারী টাকা খরচ করে বিদেশে যাচ্ছেন। ৬৪ শতাংশ নারী অভিবাসী হওয়ার ক্ষেত্রে কাজের চুক্তিপত্র পান না। দেখা গেছে, দালালরা ২৫ শতাংশ নারীকে বয়সের ভুয়া সনদ দিয়ে বিদেশে পাঠাচ্ছে। সরকারের প্রচুর পৃষ্ঠপোষকতা আছে কিন্তু তথ্য না জানার কারণে নারীরা এই সেবা নিতে ব্যর্থ। অভিবাসী আইন ২০১৩ এর ২২ ধারা সংশোধন করে কর্মঘন্টা, বিশ্রাম, ছুটি- এই বিষয়গুলো চুক্তিপত্রের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। অভিবাসী আইন ২০১৩ এ মাত্র একটি কমার কারণে রিক্রুটিং এজেন্সিরা জবাবদিহিতার বাইরে থেকে যাচ্ছে। আইএলও ১৯০ অনুস্বাক্ষরিত না হওয়ায় সাধারণত নারীশ্রমিকদের সমঝোতা চুক্তিতে বিদেশ পাঠানো হচ্ছে, এতে তারা যেমন অধিকার বঞ্চিত হচ্ছে এবং অপমৃত্যুর ক্ষেত্রে তাদের ন্যায় বিচার দেয়া যাচ্ছে না। বহু দেশের সাথে আমাদের সিডও চুক্তি স্বাক্ষর করা আছে তাই আমরা এই চুক্তি ধরে সামনে এগোতে পারি। দালালদের আইনের অন্তর্ভুক্ত করা এবং দূতাবাসে যেসব আইন ও সেবা আছে সেগুলো বাস্তবায়ন করা হোক বলে তিনি সুপারিশ করেন।
রীনা রায় বক্তব্যে বলেন, নারীশ্রমিকরা যেখানে কাজ করার কথা সেখানে কাজ পেল কি না, তার কর্মঘন্টা, ছুটি ইত্যাদি বিষয়ে কোন মনিটরিং নেই, এই মনিটরিং এর দায়িত্ব সরকারকেই নিতে হবে। যারা বিদেশে যেতে চায় তাদের কমিউিনিটি পর্যায়ে গ্রুপ করে প্রি ডিসিশন, দক্ষতা নিয়ে আলোচনাসহ বিভিন্ন তথ্য সরবারহ করার কাজ নারী ও নারী অধিকার সংগঠনগুলো করতে পারে। গন্তব্য দেশে বাংলাদেশের অভিবাসী আইন ২০১৩ কার্যকর নয়। আবার গন্তব্য দেশের শ্রম আইন অভিবাসীদের জন্য প্রযোজ্য নয়। আমাদের সুপারিশ হলো গন্তব্য দেশে অভিবাসী ও সাধারণ মানুষের জন্য একই শ্রম আইন যেন প্রনয়ণ করা হয়।
মমতাজ আরা তার বক্তব্যে বলেন, র্যামিটেন্স আমাদের প্রধান আয়ের উৎস। অথচ এই খাতে যারা কাজ করে তাদের জীবনের কোন নিরাপত্তা নেই। তাদেরকে পর্যাপ্ত খাবার না দেয়া হয় না, ২৪ ঘন্টা কাজ করানো, পরিবারের সকলে মিলে রেইপ করা, এইসব নির্যাতন তাদের উপর চলে। আমি সুপারিশ করবো স্বরাস্ট্রমন্ত্রলায়, পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়, স্পেশাল ব্রাঞ্চ, পুলিশ সকলকে একসাথে অভিবাসন প্রক্রিয়া নিয়ে ওরিয়েন্টেশন এর ব্যবস্থা করা উচিত এবং পাঠ্যপুস্তকে র্যামিটেন্স এবং অভিবাসনকে বিষয়বস্তু হিসেবে অন্তুর্ভুক্ত করা হোক।
মত বিনিময় সভায় উপস্থাপিত মূল প্রবন্ধে বেশ কিছু সুপারিশ তুলে ধরা হয়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য সুপারিশগুলো হলো:

Dec 26, 2021 | Press Release
আমরা জানি, অনেক বাঙালী নারী পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন পেশায় বহুদিন ধরে কাজ করে আসছেন। বাংলাদেশ সরকার ও অভিবাসি সরকার নারীরা যাতে নিরাপদে কাজ করতে পারে এবং কাজ শেষে নিরাপদে দেশে ফিরতে পারে সে জন্য ̈ ইতোমমধ্যে ̈ অনেক উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। PDF