প্রেসবিজ্ঞপ্তি
৩১ মে, ২০১৮

নারীর জন্য নিরাপদ কর্মপরিবেশের দাবিতে চলমান আন্দোলন তখনই সফল হতে পারে যখন ওই দাবির সাথে হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ি প্রতিটি কর্মস্থলে যৌনহয়রানি প্রতিরোধ কমিটি গঠন নিশ্চিত করা যাবে এবং যৌনহয়রানি প্রতিরোধ ও সুরক্ষা’র পূর্ণাঙ্গ আইন প্রণয়ন করা যাবে, বলেছেন কর্মজীবী নারী-র নির্বাহী পরিচালক রোকেয়া রফিক।

কর্মস্থলে যৌনহয়রানি সহ অন্যান্য নিপীড়ন প্রতিরোধে নির্দিষ্ট আইনি কাঠামো এবং জাতীয় পর্যায়ে এই ইস্যুতে যথেষ্ঠ মনযোগের অভাব রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “ বর্তমানে জেনেভায় যে লেবার কনফারেন্স চলছে তাতে ট্রেড ইউনিয়ন সহ অন্যান্য আরো অনেক বিষয়ে প্রস্তাবনা থাকলেও নারী প্রধান এই শিল্পে নারীর জন্য নিরাপদ ও সুরক্ষিত কর্মপরিবেশ কিভাবে গড়ে তোলা যায় সেই বিষয়ে কোনো প্রস্তাবনা নেই”।

কর্মজীবী নারী, গ্রীন বাংলা গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ফেডারেশন, বাংলাদেশ প্রোগ্রেসিভ গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ফেডারেশন, বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক জোট, বাংলাদেশ তৃণমূল গার্মেন্টস শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শ্রমিকদল, জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক জোট- বাংলাদেশ এবং পোশাক শিল্প শ্রমিক জোট-এর আয়োজনে আশুলিয়া এলাকায় পেন্টা ফোর্থ এপারেলস লিমিটেড- এ গত সোমবারে ঘটে যাওয়া এক নারী শ্রমিকের উপর নৃশংস ধর্ষণের ঘটনার প্রতি তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে ঢাকার জাতীয় প্রেসক্লাব প্রাঙ্গনে এক মানব বন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

কর্মজীবী নারী’র পরিচালক সানজিদা সুলতানার সঞ্চালনায় এই মানব বন্ধনে সংহতি মূলক বক্তব্য রাখেন মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের পরিচালনা মন্ডলীর সদস্য রীনা রায় ও ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার সোমা দত্ত, বøাস্টের প্রতিনিধি অটল চন্দ্র সরকার, গার্মেন্টস শ্রমিক জোট বাংলাদেশের সভাপতি সরদার খোরশেদ, জাতীয় শ্রমিক জোট বাংলাদেশের ঢাকা মহানগর কমিটির দপ্তর সম্পাদক রাবেয়া আখতার এবং বিভিন্ন ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশনের নেতৃবৃন্দ।

জাতীয় প্রেসক্লাব প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত দীর্ঘ এই মানব বন্ধনটি নির্দিষ্ট কতগুলো দাবি উল্লেখ করার মধ্যে দিয়ে শুরু হয়। এক ঘন্টা ব্যাপী স্থায়ীত্বকালের এই মানব বন্ধনটিতে নৃসংশ এই ধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদে জাতীয় শ্রমিক জোট বাংলাদেশের দপ্তর সম্পাদক রাবেয়া আখতার বলেন, “ শ্রম আইন অনুযায়ি একজন নারী শ্রমিককে দিয়ে রাত্রী কালিন কাজ করাতে হলে শ্রমিকের অনুমতি নিতে হবে এবং নিরাপদ কর্মক্ষেত্র নিশ্চিত করতে হবে । তিনি তার বক্তব্যে এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের দাবি করেন”।

বক্তারা অভিযুক্ত দুই ধর্ষকের উপযুক্ত শাস্তি, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের ধর্ষণের শিকার নারী শ্রমিকের চিকিৎসার ব্যয়ভার গ্রহণ, ধর্ষণের ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের ব্যবস্থা গ্রহণ এবং হাইকোর্টের নির্দেশে কর্মস্থলে যৌন হয়রানি প্রতিরোধ কমিটি গঠনের প্রতি জোর দেন।

নারীর জন্য নিরাপদ কর্মক্ষেত্র নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আজকের এই মানববন্ধন থেকে যে দাবি সমূহ উঠে এসেছে:
১. অবিলম্বে ধর্ষক রুবেল, শাহিনুর এবং কারখানা কর্তৃপক্ষের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত কর।
২. ‘যৌন হয়রানি প্রতিরোধ কমিটি’ গঠন বিষয়ে হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানি প্রতিরোধ ও সুরক্ষা আইন প্রণয়ন কর।
৩. হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী কারখানাসহ সকল প্রকার কর্মক্ষেত্রে ‘যৌন হয়রানি প্রতিরোধ কমিটি’ গঠন নিশ্চিত কর।

অনুষ্ঠান : মানববন্ধন
বিষয় : পোশাক শিল্পের নারী শ্রমিককে কারখানার অভ্যন্তরে ধর্ষণের প্রতিবাদ এবং অভিযুক্তকারীদের শাস্তির দাবি
তারিখ, স্থান ও সময় : ৩১ মে, ২০১৮;জাতীয় প্রেসক্লাব চত্তর, ঢাকা: সকাল ১১ টা

অনুগ্রহপূর্বক উক্ত আয়োজনে আপনার বহুল প্রচারিত জাতীয় দৈনিক / দর্শক নন্দিত টেলিভিশন চ্যানেল / বার্তা সংস্থায় এই মানব বন্ধনের খবর ও ছবি ছাপানোর অনুরোধ করছি।

আপনাদের অব্যাহত সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ।

বার্তা প্রেরক
সানজিদা সুলতানা
পরিচালক (কর্মসূচী)
কর্মজীবী নারী

যোগাযোগ: আল জাহিদ, প্রজেক্ট অফিসার, কর্মজীবীনারী
মোবাইল: ০১৬৮৬১৬০৬২৯

Pin It on Pinterest