“শ্রমিক সংগঠনগুলো একত্রিত না হলে কোনো দাবিই পূরণ হবে না”

১৬ এপ্রিল কর্মজীবী নারীর উদ্যোগে ও স্ট্র্যাটেজিক পার্টনার হিসেবে নারী পক্ষের অংশগ্রহণে ‘পোশাক শিল্প কারখানায় চাই নারীর জন্য নিরাপদ কর্মপরিবেশ’এই আহŸানে জাতীয় প্রেস ক্লাব-এর ভিআইপি লাউঞ্জে, এক মত বিনিময় সভায় ট্রেড ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দের সাথে সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর এর পক্ষ থেকে প্রতিনিধি নুসরাত জাহান, এসিস্ট্যান্ট ইন্সপেক্টর জেনারেল। কর্মজীবী নারীর সভাপতি ড. প্রতিমাপাল-মজুমদারের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট এর সাধারণ সম্পাদক রাজেকুজ্জামান রতন, জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক জোট বাংলাদেশ এর সভাপতি নঈমূল আহসান জুয়েল, গার্মেন্টস শ্রমিক কর্মচারী লীগ এর সভাপতি লীমা ফেরদৌস। সভাটি সঞ্চালনা করেন কর্মজীবীনারী’র নির্বাহী পরিচালক রোকেয়া রফিক।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর এর প্রতিনিধি নুসরাত জাহান বলেন, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর তিনটি ক্লাস্টারে করছে ১. সাধারণ বিভাগ ২. সেফটি বিভাগ এবং ৩. ¯^াস্থ্য বিভাগ। এই সব বিভাগে কাজ করতে গিয়ে পোশাক শিল্প কারখানায় নারী শ্রমিকের সুরক্ষায় তাদের কাজের পরিব্যাপ্তি আরও বাড়িয়েছেন।

নারীশ্রমিকের দক্ষতা, উদ্ভাবন এবং উৎপাদনশীলতার উপর জোর দিয়ে কর্মক্ষেত্রে নারী শ্রমিকের অনিরাপদ অবস্থা বিশ্লেষণ করেন কর্মজীবী নারীর সভাপতি ড. প্রতিমাপাল-মজুমদার।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে রাজেকুজ্জামান রতন বলেন দেশে প্রবৃদ্ধির সাথে সাথে নারীর প্রতি সহিংসতাও বাড়ছে তাই এসডিজি লক্ষ্য অর্জনও কঠিন হয়ে যাবে। নঈমূল আহসান জুয়েল বলেন এমপ্লায়ারস এসোসিয়েশনের মতো শ্রমিক সংগঠন, ফেডারেশন এবং ইউনিয়নগুলো একত্রিত হয়ে একটি সংগঠন হয়ে কাজ করলে কর্মক্ষেত্রে নারী শ্রমিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব। সেই সাথে লীমা ফেরদৌস বলেন নারীর অধিকার, নিরাপত্তা ও সুরক্ষার জন্য সর্ব প্রথম নারীকেই সচেতন হতে হবে।

সভার সমাপনী বক্তব্যে সিডও সনদ সুপারিশ নং ৩১ (গ) বাস্তবায়নের জন্য নীতি নির্ধরক এবং সরকারের প্রতি আহŸান জানান সভার সভাপতি ড. প্রতিমাপাল-মজুমদার । এছাড়া এই আয়োজনে জাতীয় পর্যায়ের শ্রমিক নেতৃবৃন্দ এবং গার্মেন্টস শিল্পের শ্রমিকগণ উপস্থিত ছিলেন

Pin It on Pinterest