প্রেসবিজ্ঞপ্তি
২৮ আগষ্ট, ২০২১

ফেনীতে শ্বশুরবাড়ির নির্যাতনের শিকার গৃহবধু খালেদা হোসেন অমিসহ নির্যাতিত সকল নারীর ন্যায়বিচারের দাবিতে কর্মজীবী নারী’র বিবৃতি:

পরশুরামের সাতকুচিয়ার পূর্ব দরবারপুর গ্রামে যৌতুকের জন্য শ্বশুর বাড়ির লোকেদের দ্বারা নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ফুলগাজীর মেয়ে খালেদা হোসেন অমি। স্বামী আব্দুল হালিম লিখনের প্রবাসে থাকার সুযোগে শাশুড়ি খাইরুননেসা, ননদ হাসিনা বেগম, হাসিনার স্বামী আবুল কাশেমসহ পরিবারের সকলে প্রায় সময় খালেদা হোসেন অমির উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালিয়ে আসছিল। পারিবারিক কলহের জের ধরে বিভিন্ন সময় তার উপর পাশবিক নির্যাতন করা হতো। সম্প্রতি তাকে বিষধর সাপ দিয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয়। পরবর্তীতে চিকিৎসার নাম করে চোখ মুখ বেঁধে ওঝা দিয়ে শরীরে সাপ ছেড়ে দেয়া হয়। ভয়াবহ মানসিক নির্যাতনের শিকার হয়ে যখন সে তার মায়ের বাড়িতে অবস্থান করছিল তখন শ্বশুর বাড়ি থেকে ননদ ও ননদের স্বামীসহ কয়েকজন তাদের বাড়িতে এসে পরিবারের অন্য সদ্স্যদের সাথে বাক-বিতণ্ডা ও মারামারি করে এবং অসুস্থ অমিকে বিছানায় থাকা অবস্থায় নির্মমভাবে হত্যার চেষ্টা করে। এ ঘটনায় ফুলগাজী থানায় মামলা করেছেন খালেদা হোসেন অমি। মামলার আসামী ননদ হাসিনা বেগম ও তার স্বামী আবুল কাশেম বর্তমানে জেল হাজতে আছেন। নির্যাতনের শিকার খালেদা হাসান অমি বর্তমানে ঢাকার শমরিতা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন। প্রতিহিংসার জের ধরে বর্তমানে অমির চরিত্র নিয়ে ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নেতিবাচক প্রচার প্রচারণা চালাচ্ছে শ্বশুর বাড়ির লোকজন। কর্মজীবী নারী’র সভাপতি ড. প্রতিমা পাল মজুমদার, সহ-সভাপতি উম্মে হাসান ঝলমল, সাধারণ সম্পাদিকা শারমিন কবীর ও ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী পরিচালক সানজিদা সুলতানাসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান। নেতৃবৃন্দ বলেন, এই ঘটনায় প্রতীয়মান হয় যে, এ সমাজে নারীরা প্রচলিত ধ্যান-ধারণার কাছে কতটা অসহায়। এ সমাজে কন্য শিশু এখোনো অবাঞ্চিত। তাকে সহজে গ্রহন করতে এ সমাজ এখোনো অভ্য¯ত হয়ে ওঠেনি। নারীকে মানুষ হিসেবে দেখতে বা ভাবতে কষ্ট হয়। খালেদা আক্তার অমির ছেলে সন্তান না হওয়ায় কারণেও তাকে শ্বশুরবাড়ির লোকজন শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করত। নির্যাতনের শিকার খালেদা আক্তার অমি কথাও বলতে পারছে না। তাঁরা আরও বলেন, বিশ্ব যখন করোনা মহামারীর সংকটে নিপতিত তখন দেশে নারী ও শিশু নির্যাতনের এসব ভয়াবহ ঘটনা সকলকে উদ্বিগ্ন করছে। সমাজে এখনো নারীরা যৌতুকের জন্য পাশবিক নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। আদিম উপায়ে নারীকে নির্যাতন করা হচ্ছে। নেতৃবৃন্দ খালেদা হোসেন অমিসহ সকল নারীর উপর সংঘটিত পারিবারিক ও সামাজিক নির্যাতনের ন্যায়বিচারের দাবি করে এবং নারীর প্রতি সকল প্রকার সহিংসতা প্রতিরোধে সবাইকে এক সাথে কাজ করার আহবান জানান।

বার্তা প্রেরক
কাজী গুলশান আরা দীপা
প্রশিক্ষক
কর্মজীবী নারী
যোগাযোগ: ০১৭১৬৮৬৪৪৭২

Pin It on Pinterest